Vinesh Phogat overweight: ওজন কমানোর জন্য সারা রাত দৌড়েছেন। চুল কাটিয়েছেন। কাপড় ছোট করেছেন। বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়েছেন। কিন্তু, কিছুতেই কিছু হল না। সেই ওজন বেশি হওয়ার অভিযোগেই প্যারিস অলিম্পক থেকে বাতিল হয়ে গেলেন ভিনেশ ফোগত। ভারতীয় অলিম্পিক দলের চিফ মেডিক্যাল অফিসার জানিয়েছেন যে, মঙ্গলবার তাঁর তৃতীয় এবং চূড়ান্ত লড়াইয়ের পরে ওজন কমানোর জন্য ভিনেশ প্রবল চেষ্টা শুরু করেন। কিন্তু, মাত্র ১০০ গ্রাম অতিরিক্ত ওজন থাকায় ভিনেশ অলিম্পিক কুস্তির ফাইনালে খেলা প্রথম মহিলা হতে পারলেন না। ফোগত অবশ্য অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য সারারাত ধরে কঠোর চেষ্টা চালিয়েছেন।
এই ব্যাপারে ভারতীয় দলের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. দীন শ পারদিওয়ালা বলেন, 'আমরা তাঁর চুল কাটা, তাঁর জামাকাপড় ছোট করা-সহ সারারাত ধরে ওজন কমানোর জন্য সমস্ত চেষ্টা করেছি। কিন্তু, কিছুতেই চূড়ান্ত সাফল্য পাইনি। ভিনেশের ওজন ৫০ কেজি ওজনের মধ্যে আনা সম্ভব হয়নি।'
এই ব্যাপারে ভারতীয় দলের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. দীন শ পারদিওয়ালা বলেন, 'আমরা তাঁর চুল কাটা, তাঁর জামাকাপড় ছোট করা-সহ সারারাত ধরে ওজন কমানোর জন্য সমস্ত চেষ্টা করেছি। কিন্তু, কিছুতেই চূড়ান্ত সাফল্য পাইনি। ভিনেশের ওজন ৫০ কেজি ওজনের মধ্যে আনা সম্ভব হয়নি।' পাদরিওয়ালা জানিয়েছেন, 'আমরা দেখেছি যে শেষ ম্যাচের পরে তাঁর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বেড়েছিল। তারপরই কোচ ওজন কমানোর স্বাভাবিক প্রক্রিয়া শুরু করেন। তিনি সবসময় ভিনেশের পিছু পিছু ছিলেন। তিনিও অনেক চেষ্টা করেছেন। আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, হয়তো রাতারাতি ওজন কমানো সম্ভব হবে। শেষ পর্যন্ত সকালে আমরা দেখতে পেলাম যে আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ভিনেশের ওজন ৫০ কেজির চেয়ে ১০০ গ্রাম বেশি রয়েছে। তাই, তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।'
বুধবার স্থানীয় অলিম্পিক হাসপাতালে ভিনেশকে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধের জন্য ভর্তি হতে হয়েছে। সেই ব্যাপারেও পারদিওয়ালা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'ওজন কমানোর সময় ভিনেশের সমস্ত প্যারামিটার স্বাভাবিক ছিল। হাসপাতালেও তিনি পুরোপুরি স্থিতিশীল। ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (IOA) সভাপতি পিটি ঊষাও ভিনেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ঊষাকে ভিনেশ বলেছেন যে তাঁর শরীর ঠিকঠাক আছে। তবে তিনি হতাশ। কারণ, জীবনের তৃতীয় অলিম্পিকে তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করা হল।'
আরও পড়ুন- লজ্জার আগুনে দ্বীপরাষ্ট্রে কুখ্যাত বিপর্যয়, হোয়াইটওয়াশ হয়ে শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরছে গম্ভীরের ভারত
পারদিওয়ালা জানিয়েছেন যে, ওজন কমানোর পিছনে বিজ্ঞান রয়েছে। কুস্তিগিররা ওজন কমিয়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেন। এই ব্যাপারে পারদিওয়ালা বলেন, 'কুস্তিগিররা সাধারণত তাঁদের স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে কম ওজনের বিভাগে অংশগ্রহণ করেন। এতে তাঁদের সুবিধা হয়। কারণ, তাঁরা সেক্ষেত্রে কম শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। সকালে ওজন মাপার আগে ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় খাবার এবং জলের পরিমাণটা ঠিক করে নেওয়া হয়। পাশাপাশি, অ্যাথলিটরা শারীরিক কসরত করেন। ঘামের ফলেও তাঁদের ওজন কমে।'
পারদিওয়ালা বলেন, 'এইভাবে ওজন কমানোর সুবিধা রয়েছে। এতে খুব বেশি দুর্বলতা আসে না। অথবা, বিরাট শক্তির ক্ষয় হয় না। পরে, কুস্তিগিররা খাবারের পরিমাণ বাড়ান। জল পান করেন। এতেই তাঁদের শক্তি পুনরুদ্ধার হয়। তবে, সেসব সাধারণত ওজন করার পরে দেওয়া হয়।' ভারতীয় দলের চিফ মেডিক্যাল অফিসার জানিয়েছেন, ভিনেশের ক্ষেত্রে ঠিক ছিল তাঁর পুষ্টিবিদ তাঁকে ডিহাইড্রেশন এড়াতে সামান্য পরিমাণে তিনবার জল পান করতে দেবেন।
পারদিওয়ালা বলেন, 'নিউট্রিশনিস্টের কাছ থেকে যে হিসাব মিলেছে, তা একজন অ্যাথলিটের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া। ভিনেশের পুষ্টিবিদ বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁকে কতটা পরিমাণে খাবার খেতে হবে। সারাদিনে ১.৫ কেজি। তাঁর লড়াইয়ের শক্তির জন্য এটাই যথেষ্ট। ভিনেশের তিনটি ম্যাচ ছিল। ডিহাইড্রেশন রোধ করতে ওঁকে কিছু পরিমাণে জল পান করতে দেওয়া হয়েছিল। তাতেই ওজন বেড়ে গিয়েছে।'