করোনা-টেস্ট নিয়ে বিড়ম্বনার অন্ত নেই পাক ক্রিকেট বোর্ডের। ১০ জন ক্রিকেটার এবং একজন সাপোর্ট স্টাফ করোনা আক্রান্ত হওয়ার আসন্ন ইংল্যান্ড সফর নিয়েই প্রশ্নচিহ্ন উঠে গিয়েছে। এর মধ্যেই মহম্মদ হাফিজকে নিয়ে বিব্রত হতে হচ্ছে পিসিবিকে।
পাক ক্রিকেট বোর্ডের তরফে যে করোনা টেস্টিং হয়, সেখানে মঙ্গলবারে হাফিজ পজিটিভ ধরা পড়েন। তারপর ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাফিজ করোনা পরীক্ষা করায় নেতিবাচক রিপোর্ট আসে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনা পরীক্ষা করে পিসিবির তোপের মুখে পড়েন পাক অলরাউন্ডার। পাক বোর্ডের তরফে প্রকাশ্যেই হাফিজের কীর্তিতে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
তবে বিড়ম্বনার এখানেই ইতি নয়। পাক ক্রিকেটারদের করোনা-পরীক্ষা করার জন্য যে হাসপাতালের সঙ্গে পিসিবি চুক্তিবদ্ধ সেই সওকত খানুম মেমোরিয়াল হাসপাতালে তরফে ফের একবার হাফিজের টেস্টিং করা হয়। যথারীতি তাতে আরো একবার করোনা-পজিটিভ ধরা পড়েছেন তিনি।
এরপরেই দৃশ্যতই বিব্রত হয়েছে পাক বোর্ড। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক বিবৃতিতে পাক বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, "পিসিবি বেশ জটিল পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। আক্রান্ত দশ জনের নতুন করে দ্বিতীয়বার করোনা টেস্ট হয়েছে। সেই রিপোর্ট এখন কী আসে সেটাই দেখার।" শনিবারই সেই টেস্টের রিপোর্ট আসার কথা।
কিন্তু কেন হাফিজ ব্যক্তিগতভাবে করোনা পরীক্ষা করলেন। ক্রিকেটারের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি জানিয়েছেন, "প্রথম টেস্টের পর হাফিজ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। নিজের মানসিক স্থিতির জন্য হাফিজ করোনা টেস্ট করে। পিসিবিকে অপদস্থ করার কোনো অভিপ্রায় ছিল না ওঁর।"
এদিকে পাক ক্রিকেট বোর্ডের বিড়ম্বনা বাড়িয়েছেন ইনজামাম উল হক-ও। করোনা-পজিটিভ ক্রিকেটারদের শারীরিক যত্ন ঠিকভাবে নেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে একহাত নিয়েছেন পিসিবির চিকিৎসকদের। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ইঞ্জি জানান, "শুনেছি, গত দুদিন ধরে ক্রিকেটারদের ফোন ধরছেন না চিকিৎসকরা। এটা ভীষন খারাপ বিষয়। ক্রিকেটারদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন ওদের নজরে রাখার কথা। যে ক্রিকেটারদের করোনা ধরা পড়েছে, তারা হয়ত ভাবছে, কঠিন সময়ে পিসিবি তাদের পাশে নেই।"