এশিয়া কাপের সূচি পরিবর্তন করে আইপিএল আয়োজন করা যাবে না। এমনই শাসানি এলো খোদ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সিইও ওয়াসিম খান জানান, করোনার কারণ ব্যতীত অন্য কোনো কারণে যেন এশিয়া কাপের সূচি পরিবর্তন না করা হয়।
জিটিভি নিউজ চ্যানেলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, "আমাদের অবস্থান একদমই স্পষ্ট। নির্ধারিত সূচি মেনে সেপ্টেম্বরেই এশিয়া কাপ আয়োজন করতে হবে। যদি না করোনার কারণে নিরাপত্তার কোনো ইস্যু থাকে। কোনো অবস্থাতেই আইপিএল আয়োজনের জন্য এশিয়া কাপের সূচি পরিবর্তন করা চলবে না। শুনছি এশিয়া কাপ নাকি নভেম্বর ডিসেম্বরে পিছতে পারে। যদি একজন সদস্য দেশের কথা শুনে এমনটা করা হয় সেটা কোনোমতেই ঠিক হবে না। এতে কোনোভাবেই আমাদের সমর্থন থাকবে না।"
তিনি আরো জানিয়ে রাখছেন, নভেম্বর ডিসেম্বরে প্রথমে জিম্বাবোয়ে এবং তারপর নিউজিল্যান্ড সিরিজ রয়েছে। তাই এশিয়া কাপ পিছনো উচিত নয়।
আইসিসির সঙ্গে টেলিকনফারেন্সে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চিফ এক্সিকিউটিভ রবার্টস বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "অস্ট্রেলিয়া সরকার, স্থানীয় আয়োজক সংস্থা এবং আইসিসির সঙ্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নিরন্তর যোগাযোগ রাখছে। সূচি অনুযায়ী বিশ্বকাপ খেলা সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
পাশাপাশি তিনি জানান, "বিশ্বকাপ আয়োজনের সমস্ত সম্ভবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাতে সবাইকে নিরাপদে রেখে দুর্দান্ত ক্রিকেট উপভোগ করা সম্ভব হয়। সঠিক সময়ে একদম সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
এর পরিপ্রেক্ষিতে পাক বোর্ডের কর্তা জানান, "টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সম্ভবত ক্লোজড ডোরে খেলা হবে। কারণ বিশ্বকাপ আয়োজন না করা হলে প্রত্যেক ক্রিকেট বোর্ড ১৫-২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি করবে।"