Advertisment

'পেলে' নামে ছিল চরম ঘেন্না! কেউ ডাকলেই রেগে যেতেন, জানুন প্রয়াত কিংবদন্তির নাম-রহস্য

পেলে নামে কেউ ডাকলেই রেগে যেতেন তিনি, কেন জানেন

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
NULL

পেলে চলে গিয়েছেন বিশ্বকে কাঁদিয়ে। রেখে গিয়েছেন অজস্র স্মৃতি। সেই স্মৃতিতে চাপ চাপ জমে রয়েছে অনন্ত রোম্যান্সের পাহাড়। মিথ হয়ে যাওয়া অফুরন্ত সমস্ত গল্প গাঁথা।

Advertisment

তিরিশ-চল্লিশের দশকে পেলের মা মিনাস গ্রেসিয়াস রাজ্যের ট্রেস কোরাকয়েস রাজ্য থেকে শহরে চলে এসেছিলেন। ব্রাজিলের শহর থেকে দূরবর্তী স্থানের মত ট্রেস কোরাকোয়েসেও ছিল না কোনও বিদ্যুৎ। তবে ছিল একের পর এক ফুটবল ক্লাব। সেখানেই পেলের মায়ের সঙ্গে দেখা তাঁর বাবা জোয়াওয়ের। মিলিটারিতে সার্ভিস করার সময় যিনি স্থানীয় ক্লাবে খেলতেন ডনডিনহো নামে।

আরও পড়ুন: যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছিলেন একাই, পেলের মৃত্যুতে উথলে উঠছে পুরোনো সেই স্মৃতি

সেই পরিণয় গড়ায় বিবাহে। প্ৰথম সন্তানের জন্মের সময় গ্রামে চলে আসে ইলেক্ট্রিসিটি। সেই কারণেই ইলেক্ট্রিসিটির স্রষ্টার নামে সন্তানের নাম রাখা হয় থমাস এডিসন। যদিও আসল নাম এডসন আরান্তেস ডি নাসিমেন্টো।

স্কুলে আর এক বিপত্তি। স্থানীয় ভাস্কো ডা গামা ক্লাবের গোলকিপার বিলেকে তিনি বলতেন পিলে নামে। সেই সূত্রেই তাঁর এক ক্লাস-সতীর্থ তাঁকে পেলে নামে ডাকা চালু করেন। সেই নামেই যে তিনি একদিন দুনিয়া জয় করবেন, কে ভাবতে পেরেছিল! তিনি যদিও পেলে নাম একদম পছন্দ করতেন না। ভাবতেন এটা কোনওরকম একটা বিদ্রুপাত্মক শব্দ।

আরও পড়ুন: প্রয়াত পেলে, মেসির বিশ্বকাপ পাওয়ার বছরেই শোকে ছারখার দুনিয়া

ফুটবল সম্রাটকে ব্রাজিলে পর্তুগিজ ভাষায় ডাকা হয়, 'পেরোলা নেগ্রা' বলে। পর্তুগিজ থেকে বাংলায় তর্জমা করলে যা দাঁড়ায় 'কালো মানিক'। দ্য গার্ডিয়ান-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পেলে একবার বলেছিলেন, "থমাস এডিসনের নামে আমার নাম রাখার জন্য আমি রীতিমতো গর্বিত। আমি চাইতাম সবাই আমাকে এডসন বলুক। মনে হয় পেলে শুনতে খুব খারাপ। যাচ্ছেতাই একটা নাম। এডসন নামটা বেশ দারুণ, সিরিয়াস টাইপের।"

Football brazil Football Trivia
Advertisment