পেলের মৃত্যুর খবর এখনও পাননি তাঁর শতবর্ষ পেরোনো মা। এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড 'দ্য মিরর'। ক্যান্সারে দীর্ঘ রোগভোগের পর পেলে ৮২ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন গত বৃহস্পতিবার। তবে সেই খবর এখনও পাননি মা।
Advertisment
পেলের মা সেলেস্ত এবং তাঁর অগ্রজ-র দেখাশোনা করেন মারিয়া লুসিয়া দি নাসিমেন্টো। তিনি দ্য মিরর-কে জানিয়েছেন, "আমরা কথা বলি। তবে উনি এখনও পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। তিনি এখনও নিজের জগতে রয়েছেন।"
"পেলের নাম উল্লেখ করলেই উনি চোখ মেলে তাকান। এবং বলতে থাকেন, 'ওঁর জন্য আমরা সবাই প্রার্থনা করছি।' তবে আমি যা বলি তা অধিকাংশ সময়ই তিনি সচেতন থাকেন না।"
কয়েক মাস আগেই মায়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে পেলে ছবি পোস্ট করেছিলেন জন্মদাত্রীর সঙ্গে।
তিরিশ-চল্লিশের দশকে পেলের মা মিনাস গ্রেসিয়াস রাজ্যের ট্রেস কোরাকয়েস রাজ্য থেকে শহরে চলে এসেছিলেন। ব্রাজিলের শহর থেকে দূরবর্তী স্থানের মত ট্রেস কোরাকোয়েসেও ছিল না কোনও বিদ্যুৎ। তবে ছিল একের পর এক ফুটবল ক্লাব। সেখানেই পেলের মায়ের সঙ্গে দেখা তাঁর বাবা জোয়াওয়ের। মিলিটারিতে সার্ভিস করার সময় যিনি স্থানীয় ক্লাবে খেলতেন ডনডিনহো নামে।
সেই পরিণয় গড়ায় বিবাহে। প্ৰথম সন্তানের জন্মের সময় গ্রামে চলে আসে ইলেক্ট্রিসিটি। সেই কারণেই ইলেক্ট্রিসিটির স্রষ্টার নামে সন্তানের নাম রাখা হয় থমাস এডিসন। যদিও আসল নাম এডসন আরান্তেস ডি নাসিমেন্টো। ওরফে পেলে।
পেলে নিজের উত্তুঙ্গ সাফল্যের পিছনে মায়ের অবদান বারবার স্বীকার করেছেন। ব্রাজিলের বিখ্যাত প্রচারমাধ্যম ও গ্লোবোর তরফে সম্প্রতি তাঁকে বর্ষসেরা মায়ের সম্মান দেওয়া হয়েছিল।