Manoj Tiwary takes indirect dig at MS Dhoni: চলতি বছরেই অবসর নিয়েছিলেন মনোজ তিওয়ারি। বাংলার হয়ে রঞ্জি হোক বা সৈয়দ মুস্তাক আলি- কোথাও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রিকেট থেকে অবসরের পরেও জাতীয় দলে কেরিয়ার দীর্ঘায়িত না ওয়ার আক্ষেপ যেন মোছার নয় তারকা ব্যাটারের।
মনোজ তিওয়ারি এখন পুরোদস্তুর বাংলার মন্ত্রী। খেলা ছেড়ে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন তারকা। তবে মনোজ ধোনিকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করা থেকে সরছেন না। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বাংলার তারকা আরও একবার নিশানা করেছেন মাহিকে।
বলে দিয়েছেন, কোনও ক্রিকেটারকে যদি সেরা সময়ে বাদ দেওয়া হয়, তাঁর মনোবল চূর্ণ হতে বাধ্য। ক্রিকএডিক্টর-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনোজ খুল্লামখুল্লা জানিয়েছেন, "এটা বহুদিন আগে ঘটেছিল (বাদ পড়ার বিষয়টি)। হ্যাঁ, দুঃখ তো হয়-ই। আমি দুঃখ পাইনি, এটা বললে মিথ্যা বলা হবে। আমরা কী করতে পারি! এটাই তো জীবন।"
"আরও সামনে এগোতে হবে। যদি কখনও পডকাস্ট করি বা আত্মজীবনী লিখি, এটা নিয়ে বলব। তবে এটা মোটেও সহজ ছিল না। কোনও ক্রিকেটারকে যদি সেরা ছন্দে থাকার সময় বাতিল করা হয়, তাঁর আত্মবিশ্বাস চুরমার হয়ে যেতে বাধ্য।"
VIDEO | "There's no pressure as such. I thought I should retire on my own terms and conditions. I don't want to block any youngster's place by just being there," says cricketer Manoj Tiwary (@tiwarymanoj) as he announces retirement from all forms of cricket. pic.twitter.com/ffMCBL2zb8
— Press Trust of India (@PTI_News) February 18, 2024
দেশের জার্সিতে ১২ ওয়ানডে ম্যাচে ২৮৭ রান করেছেন। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১১-য় শতরান-ও রয়েছে তাঁর। তবে তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় দলে জায়গা হারাতে হয় বাংলার তারকাকে। তারপরেই অবসরের সময়েই জাতীয় দলের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তারকা ব্যাটার।
অবসরের সময় মনোজ সাংবাদিকদের কাছে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলে দিয়েছিলেন, "২০১১-য় শতরান করার পরেও জাতীয় দল থেকে কেন আমাকে বাদ দেওয়া হল, বিশেষ করে সেই অস্ট্রেলিয়া সফরে, যখন সকলেই ব্যর্থ হয়েছিল! সুযোগ পেলে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে জিজ্ঞাসা করতে চাই। রোহিত শর্মা, সুরেশ রায়না তো বটেই বিরাট কোহলির মত সুপারস্টার হওয়ার যোগ্যতা ছিল আমার। তবে তা হইনি। আজকে টিভিতে যখন দেখি, সমস্ত ক্রিকেটাররা এত সুযোগ পায়, আমার খারাপ লাগে।"
"৬৫ প্ৰথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার পর আমার ব্যাটিং গড় ছিল ৬৫-এ। সেই সময় অস্ট্রেলিয়া ভারত সফরে এসেছিল। একটা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ১৩০ করি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও এক প্রীতি ম্যাচে ৯৩ করেছিলাম। টেস্টে ডাক পাওয়ার খুব কাছেই ছিলাম। তবে ওঁরা যুবরাজকে ডেকে নেয়। তাই টেস্ট ক্যাপ তো বটেই সেঞ্চুরি করে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হওয়ার পর টানা ১৪ ম্যাচ আমাকে উপেক্ষা করা হয়। যখন আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকে, তখন এরকম ঘটনা যে কোনও ক্রিকেটারের মনোবল ভেঙে দেয়।"
২০০৮-এ টিম ইন্ডিয়ায় অভিষেক ঘটেছিল মনোজ তিওয়ারির। তারপর সাত বছর এবং আটটা আলাদা আলাদা সিরিজে জাতীয় দলের হয়ে ১২ ওয়ানডে, তিনটে টি২০ ম্যাচ খেলেছেন তারকা। তবে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত শতরান করার পরে অজ্ঞাত কারণে সাত মাস জাতীয় দলে জায়গা পাননি।
পরে যদিও সুযোগ পান। ২০০৪ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক হয় মনোজের। তারপর ১৪৭ ম্যাচে ১০ হাজারের ওপর রান করেছেন। ৩৮ বছরের তারকা রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন।