দেশ বিপর্যস্ত করোনার থাবায়। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের ৪০জন প্রথমসারির ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে ভিডিও কলে আলোচনা সারলেন। শচীন, বিরাট, সৌরভের মতো ক্রিকেট নক্ষত্রদের পাশাপাশি এই ভিডিও কলে ছিলেন পিভি সিন্ধু, হিমা দাসরাও।
জানা গিয়েছে, এই আলোচনা পর্বে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পিটি ঊষা, পুলেল্লা গোপীচাঁদ, বিশ্বনাথন আনন্দ, বীরেন্দ্র শেওয়াগ, বজরং পুনিয়া, গৌতম গম্ভীর, মেরি কম, রোহিত শর্মা, যুবরাজ সিং, চেতেশ্বর পূজারার মতো তারকারাও।
দেশে করোনার হানায় ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ৫৬। আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০০ এর কাছাকাছি। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ক্রীড়া মহলের। এমন অবস্থাতে মোদি করোনা মোকাবিলায় ক্রীড়াবিদদের পাঁচ মন্ত্র দিলেন- সংকল্প, সংযম, সাকারাতমোক্ত, সম্মান এবং সহযোগ।
করোনার প্রকোপে গোটা দেশের খেলাধুলা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক সূচি তো বটেই আইপিএলও পিছিয়ে গিয়েছে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এখনও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসেনি। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা কেউই জানে না। আইপিএল সম্ভবত বাতিল করা হতে চলেছে। শুধু দেশের খেলাই নয় উইম্বলডন বাতিলের খাতায়। পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে দা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ অলিম্পিক। ইউরোপা লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ভবিষ্যৎও আশঙ্কায় পরিপূর্ণ। এমন অবস্থাতেই খবর, প্রধানমন্ত্রী দেশের ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন শুক্রবার।
প্রধানমন্ত্রী এদিন ক্রীড়াবিদদের প্রশংসা করেন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের নাম উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে। পাশাপাশি তিনি শচীন-সৌরভদের মনে করিয়ে দেন দেশবাসীর মানসিকতা বাড়ানোর জন্য ক্রীড়াবিদরা যেন কিছু উদ্যোগ নেন। দেশে লকডাউন চলছে। জরুরি অবস্থায় অনেক দেশবাসীই সরকারি বিধিনিষেধ মানছেন না। ক্রীড়ানক্ষত্রদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর এদিনের আর্জি দেশবাসীর কাছে যেন এই বিষয়ে বার্তা রাখেন তাঁরা।
পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দেন, খেলার জগতে সাফল্যের জন্য যে শৃঙ্খলা, সংযম, চ্যালেঞ্জ, আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলার জন্য একইভাবে অনুশাসন মেনে চলতে হবে দেশবাসীকে।
আয়ুশ মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে শারীরিক ও মানসিক কাঠিন্য বজায় রাখার বিষয়ে ক্রীড়াবিদদের বার্তা রাখতে বলেন।
এদিন এর আগে প্রধানমন্ত্রী রবিবারে রাত ৯টায় আলো বন্ধ করে ৯ মিনিট মোমবাতি জ্বালানোর প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, "তুমি একা নেই। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কেউই একা থাকবে না। মোমবাতির আলো মনে করিয়ে দেবে এই লড়াইয়ে আমরা একে অন্যের সঙ্গেই রয়েছি।"
এই ভাইরাসের হানায় গোটা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। চীন থেকে ছড়িয়ে এই ভাইরাসে আপাতত সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (২৪৪৭৬৯), ইতালি (১১৫২৪২) এবং স্পেন (১১২০৬৫)। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬০ হাজার। ইতালিতে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে।