Portugal star Joao Felix teams up with Cristiano Ronaldo: ফুটবল দুনিয়ায় বিরাট দলবদল। পর্তুগিজ তারকা জোয়াও ফেলিক্স মঙ্গলবার সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে (Al Nassr) যোগ দিলেন। এর মাধ্যমে তাঁর মোট ট্রান্সফার মূল্য প্রায় ২৬০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাল। ফেলিক্স এবার পর্তুগাল ফুটবল দলের সতীর্থ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) সঙ্গে জুটি বাঁধলেন। চেলসি থেকে ৩০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৩৪.৬ মিলিয়ন ডলার) ট্রান্সফার ফিতে তিনি আল নাসেরে নাম লেখালেন। চুক্তির মেয়াদ দুই বছর।
আল নাসেরের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি ভিডিওতে ফেলিক্স বলেন, “আমি এখানে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে এসেছি। আসুন একসঙ্গে জয় লাভ করি।”
ব্যর্থ সম্ভাবনার ধারা কাটাতে চায় ফেলিক্স
জোয়াও ফেলিক্স ইউরোপ থেকে সৌদি আরবে পাড়ি জমানো সর্বশেষ বড় তারকা। মাত্র ২৫ বছর বয়সে এমন এক খেলোয়াড়ের কেরিয়ারের এই মোড়, যিনি এক সময় বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ফি-র রেকর্ড গড়েছিলেন। ২০১৯ সালে বেনফিকা থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেন ১৪০ মিলিয়ন ডলারে। তখন তাঁকে ভবিষ্যতের সুপারস্টার হিসেবেই ভাবা হচ্ছিল।
কিন্তু এরপর ধারাবাহিকতা হারান। চেলসি, বার্সেলোনা এবং এসি মিলানের মতো ক্লাবে একাধিকবার লোনে খেলেন, কিন্তু নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করতে ব্যর্থ হন।
ট্রান্সফার ফি এবং মার্কেট ভ্যালু হ্রাস
ট্রান্সফারমার্কেট-এর তথ্য অনুযায়ী, ট্রান্সফার ফি-র দিক থেকে ফেলিক্সের পরে আছেন নেইমার (২২২ মিলিয়ন ইউরো), কিলিয়ান এমবাপে (১৮০ মিলিয়ন ইউরো), ফিলিপ কুটিনহো ও উসমান ডেম্বেলে (উভয়ই ১৩৫ মিলিয়ন ইউরো)।
তবে গত এক বছরে ফেলিক্সের মার্কেট ভ্যালু উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। চেলসিতে যোগ দিয়েছিলেন ৬০ মিলিয়ন ডলারে, আর এবার আল নাসেরে পারিশ্রমিক আরও কমে অর্ধেকের কাছাকাছি।
সৌদি যাত্রায় নতুন সম্ভাবনা?
সৌদি আরবে এসে কেরিয়ার পুনরুজ্জীবনের আশা অনেকের মতো ফেলিক্সও করছেন। যদিও রোনাল্ডো এবং মিত্রোভিচের মতো ফুটবলাররা সৌদি লিগে নিজেদের ভালভাবে মেলে ধরেছেন, অন্যদিকে নেইমার, হেন্ডারসন বা জন ডুরানদের অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়। কেউ চোটের কারণে, কেউ আবার কয়েক মাসের মধ্যেই বিদায় নিয়েছেন।
শিরোপা স্বপ্নে ফেলিক্স
রোনাল্ডোকে দলে নেওয়ার পর থেকেই আল নাসের বড় খেতাব জয়ের স্বপ্ন দেখছে। যদিও রোনাল্ডো সৌদি ফুটবলের মর্যাদা বাড়িয়েছেন এবং নিয়মিত গোল করছেন, কিন্তু এখনও আল ইত্তিহাদ ও আল হিলালের মতো ক্লাবদের সামনে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব হয়নি।
আল নাসের এবার ফেলিক্সকে নিয়ে সেই শিরোপা অধরা থাকাটা শেষ করতে চায়। নতুন অধ্যায় শুরু হল ফেলিক্সের, সৌদি আরবে তাঁর ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জ্বল হয়, এখন সেটাই দেখার।