বিরাট কোহলির ব্যাটে দু বছর সেঞ্চুরি নেই। পুরোনো ফর্মে বহুদিনই পাওয়া যায়নি তাঁকে। বিরাট কোহলির এই ফর্মহীনতার জন্য নাকি দায়ী অনুষ্কার সঙ্গে বিয়ে। এমনটাই এবার দাবি করে বসলেন স্বয়ং শোয়েব আখতার।
ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার এক মাস পরে কোহলি নিজেই সরে গিয়েছেন টেস্ট নেতৃত্ব থেকে। এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শোয়েব আখতার জানিয়েছেন, তিনি কোনওদিনই কোহলির নেতৃত্বের পক্ষে ছিলেন না। বরং কোহলি আরও সেঞ্চুরি করুক, ব্যাটিংয়ে ফোকাস করুক, এটাই চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের টুইটারে কোহলিই জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন! ব্যাপক বিদ্রুপের মুখে IPL ফ্র্যাঞ্চাইজি
দৈনিক জাগরণ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শোয়েব আখতার জানিয়ে দিয়েছেন, "বিরাট মোটেই নেতৃত্ব ছাড়েনি। বরং ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। সময়টা মোটেই ওঁর জন্য ভাল যাচ্ছে না। তবে ওঁকে প্রমাণ করতে হবে, ও কী করার সামর্থ্য রাখে। ওঁকে দেখাতে হবে ওর মধ্যে লোহা নাকি স্টিলের মানসিকতা রয়েছে।"
বর্তমানে লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেটে অংশ নিতে ওমানে তিনি। শোয়েব আরও জানিয়েছেন, কোহলির উচিত ছিল সাততাড়াতাড়ি বিয়ে না করে আরও রান করে যাওয়ায় মনোনিবেশ করা।
আরও পড়ুন: তৃতীয় ODI-তে একসঙ্গে চার বদল টিম ইন্ডিয়ার! বাদ পড়লেন একাধিক তারকা
"কোহলির জায়গায় আমি থাকলে বিয়ে করতাম না। আমি স্রেফ রান করেই আনন্দ করতাম ম্যাচের পর ম্যাচ। কারণ এই ১০-১২ বছর জীবনে আর ফিরে আসবে না। বিয়ে করা যে ভুল, সেটা মোটেই বলছি না। তবে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলার সময় টিমকেই সবসময় প্রাধান্য দেওয়া উচিত। কোহলিকে সমর্থকরা তুমুল ভালবাসে। টানা ১০-২০ বছর যাতে সমর্থকদের ভালবাসা ও পেতে পারে, সেটাই ওঁর নিশ্চিত করা উচিত ছিল।" জানিয়েছেন শোয়েব।
এরপরেই স্পিডস্টার বলে দেন, বিয়ের চাপেই কোহলির অফ ফর্ম অব্যাহত, "পরিবারের চাপ থাকে। বাচ্চাকাচ্চার চাপ থাকে। এই দায়িত্ব বাড়ার সঙ্গেসঙ্গেই চাপ বাড়তে থাকে। ক্রিকেটারদের কেরিয়ার খুব বেশি হলে ১৪-১৫ বছরের বেশি হয় না। এর মধ্যে পাঁচ-ছয় বছর সেরা ফর্মে থাকতে হবে। সেই সময় বিরাট পেরিয়ে এসেছে। তাই এখন ওঁর স্ট্রাগলিং পিরিয়ড চলছে।"
শোয়েব আরও জানিয়েছেন, টিমের ক্যাপ্টেনের একমাত্র অবসরের পরেই বিয়ে করা উচিত। "অধিনায়ক হিসেবে অনেক চিন্তাভাবনা করতে হয়। আমি মোটেই বিয়ের বিরোধী নই। তবে খেলার সময় একদম চাপমুক্ত হয়ে মাঠে নামা উচিত। যাতে নির্বিঘ্নে পিছুটানহীনভাবে খেলা যায়। আমিও অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে সরার পরে বিয়ে করি। ক্যাপ্টেন হিসাবে মিডিয়াকে প্রতিনিয়ত ফেস করতে হয়, ব্র্যান্ড বুঝতে হয়। এগুলো অধিনায়কত্বের সঙ্গেসঙ্গে আসে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন