রবিবাসরীয় যুবভারতীতে ফের একবার ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান। মরসুমের প্রথম ডার্বি। মেগা ম্য়াচে মুখোমুখি কলকাতার দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বি। মহারণে ইস্ট-মোহন।
সদ্য়সমাপ্ত ডুরান্ড কাপের শেষ চারে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। ফ্য়ানেরা প্রত্যাশা করেছিলেন যে, উপমহাদেশের প্রাচীনতম টুর্নামেন্টের ফাইনালেই খেলতে পারে এই দুই ক্লাব। গোকুলাম কেরালার কাছে হেরেই ইস্টবেঙ্গলকে ডুরান্ড থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল। ফাইনালে গিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু ট্রফি ছিনিয়ে নেয় কেরালার দল। ফলে কলকাতা লিগের হাত ধরেই সল্টলেক স্টেডিয়াম দেখছে বহু প্রত্য়াশিত বড় ম্য়াচ।
আরও পড়ুন: মোহনবাগানকে হারিয়ে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরালা
গতবারের আই-লিগ রানার্স ইস্টবেঙ্গল আলেয়ান্দ্রো মেনেন্দেজের কোচিংয়ে ফুটছে। আগামিকাল কিবু ভিকুনার মোহনবাগানের বিরুদ্ধে তাঁর দলই ফেভারিট। গত মরসুমের শেষ ডার্বি ২-২ ড্র হয়েছিল। ভিকুনার এটা প্রথম ডার্বি। তাঁর সব চেয়ে বড় চিন্তা দুর্বল রক্ষণ। তিন ম্য়াচে ইতিমধ্য়েই তাঁর টিম পাঁচ গোল হজম করেছে। লিগ তালিকায় চার পয়েন্ট নিয়ে সাতে তারা। আর এই ডিফেন্সের জন্য়ই ডুরান্ড কাপ জেতা হয়নি তাঁর টিমের। আগামিকাল ফ্রান মোরান্তের কাঁধেই দায়িত্ব থাকবে ফর্মে থাকা খাইমে স্য়ান্টোস ও বিদ্য়াসাগর সিংকে রুখে দেওয়ার।
-->
ইস্টবেঙ্গল দু পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে। দেখতে গেলে ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ ও ফরোয়ার্ড বাগানের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন ভিকুনাও। তিনি বলছেন লড়াইটা গোটা দলের বিরুদ্ধে। কোলাডোকে দ্বরাজ গলায় সার্টিফিকেট দিয়েছেন ভিকুনা। তাঁর মতে এই মুহূর্তে ভারতীয় ফুটবলে খেলা অন্য়তম সেরা বিদেশি তিনি।
বাগানের শক্তি বলতে মাঝমাঠে লালরামচুলোভা ও বেইতিয়া। সালভা চামোরো ও ভিপি সুহেরের যুগলবন্দিও ফুল ফোটাতে পারে মাঠে। যদিও দু'দলের কোচ ভিকুনা এবং মেনেন্দেজ মনে করছেন যে, ডার্বির সময়টা একটা ফ্য়াক্টর হতে চলেছে। কলকাতার এই আর্দ্রতা আবহাওয়ায় দুপুর তিনটে থেকে খেলাটা মুশকিল। মেনেন্দেজ বলছেন এই আবহাওয়াতে তাঁর খেলেয়াড়রা সেরাটা দিতে পারবেন না।