পৃথ্বী শ দেখা করলেন তাঁর “আইডল” শচীন তেন্ডুলকরের সঙ্গে। সোমবার টুইটারে সেই ছবি শেয়ার করেছেন পৃথ্বী নিজেই। শচীনকে স্যার সম্বোধন করেই নিজের আইডল বলেছেন টিম ইন্ডিয়ার নয়া সেনসেশন। পোস্টে ইমোজি দিয়ে বুঝিয়েছেন যে, ক্রিকেট ঈশ্বরের উপর তাঁর শতকরা একশো শতাংশ ভালবাসা রয়েছে।
মাত্র তেরো বছর বয়সেই খবরের শিরোনামে এসেছিলেন পৃথ্বী। মুম্বইয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ হ্যারিস শিল্ডে ৫৪৬ রান করেছিলেন পৃথ্বী।আর তার ঠিক পাঁচ বছর পরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জাতীয় দলের হয়ে সাদা পোশাকে অভিষেক করলেন তিনি। স্মরণীয় করে রাখলেন সেঞ্চুরিতে। হ্যারিস শিল্ডে ভাল খেলার জন্য লিটল মাস্টারের হাত থেকে পুরস্কারও পেয়েছিলেন পৃথ্বী। তখন থেকেই শচীন মজেছিলেন পৃথ্বীতে। রাজকোটে রাজকীয় ইনিংস খেলার পরেই পৃথ্বীকে টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মাস্টারব্লাস্টার। শচীন লিখেছিলেন পৃথ্বী যেন এরকম ভয়ডরহীন ক্রিকেটই খেলতে থাকুক।
জীবনের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করে চমকে দিয়েছিলেন পৃথ্বী শ। মুম্বইয়ের তরুণ ব্যাটসম্যান ১৫ নম্বর ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে কেরিয়ারের প্রথম টেস্টে শতরান হাঁকিয়ে নজির গড়েছিলেন। সেদিন রাজকোটে পৃথ্বীর ব্য়াট থেকে এসেছিল ১৫৪ বলে ১৩৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস। শচীন তেন্ডুলকরের পর দ্বিতীয় তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে পৃথ্বী টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছিলেন। হায়দরাবাদে দ্বিতীয় টেস্টেও পৃথ্বী ছিলেন ছন্দে। প্রথম ইনিংসে ৭০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৩৩ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই পৃথ্বীকে সিরিজের সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। জীবনের প্রথম টেস্ট সিরিজে ম্যান অফ দ্য সিরিজ হওয়ার নজির খুব কম ক্রিকেটারেরই আছে। ভারতীয়দের মধ্যে এর আগে মাত্র তিনজনই এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। তালিকায় রয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রোহিত শর্মা। এই এলিট ক্লাবেও এসেছেন পৃথ্বী। আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে পৃথ্বী এখন ৬০ নম্বরে এসেছেন।