কাশির জন্য় ওষুধ খেয়েছিলেন তিনি। আর তাতেই কাল হলো টিম ইন্ডিয়ার টেস্ট ওপেনার পৃথ্বী শ'র। ডোপিংয়ের দায় অভিযুক্ত পৃথ্বীকে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত নির্বাসনে পাঠিয়েছে বিসিসিআই।
পৃথ্বীর কাশির সিরাপে ছিল টারবুটালাইন, যা প্রায় কম-বেশি প্রতিটি কাশির সিরাপেই পাওয়া যায়। ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা)-র নিয়ম মতে এটি একটি নিষিদ্ধ উপাদান। যা কোনও ক্রিকেটারের নেওয়া চলবে না।
আরও পড়ুন: ২০১৯-২০ মরসুমের হোম সিরিজ ঘোষণা করল বিসিসিআই, ইডেনে খেলবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইন্দোরে সইদ মুস্তাক আলি ট্রফি চলাকালীন মুম্বইয়ের তরুণ ক্রিকেটেরারে মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বোর্ডের অ্যান্টি ডোপিং টেস্টিং প্রোগ্রামেই পৃথ্বীর মূত্রে নিষিদ্ধ টারবুটালাইন পাওয়া যায়। অ্যান্টি ডোপিং রুল ভায়োলেশন কমিটিকে পৃথ্বী জানিয়েছিলেন যে, তিনি কাশির জন্য়ই সিরাপ খেয়েছিলেন। বিসিসিআই ডোপিং সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেই তাঁকে আট মাস সাসপেন্ড করেছে। পৃথ্বী নিজেই টুইট করে তাঁর ডোপিংয়ের কথা জানিয়েছেন। চলতি বছরের ১৬ মার্চ থেকেই কিন্তু পৃথ্বীর সাসপেনশেন শুরু হয়ে গিয়েছে। যে খবর এল প্রায় সাড়ে তিন মাস পর।
আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দু'ম্যাচের টেস্ট সিরিজ রয়েছে ভারতের। পৃথ্বীকে দলে না-রাখার কারণ হিসাবে যদিও অন্য় কথা শুনিয়েছিলেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ। তিনি সাংবাদিকদের জানান যে, পৃথ্বী কোমরের চোটের জন্য় খেলতে পারছেন না। গত শীতে পৃথ্বী গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। কিন্তু প্রস্তুতি ম্য়াচেই পৃথ্বীর গোড়ালিতে চোট পান। পরে ওই সিরিজের একটি ম্য়াচেও তাঁর খেলা হয়নি। ঘটনাচক্রে কোন চোট পাওয়া ক্রিকেটার ফিট হয়ে গেলে তাঁকে দলে এমনিই ফিরিয়ে আনা হয়। যেটা ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে হয়েছে।
বিসিসিআই পৃথ্বীর ডোপের বিষয়টা চেপেই গিয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফিরে আসার পর বিরাট কোহলিরা ঘরের মাঠে ঘরের মাঠে ৫টি টেস্ট, ৯টি ওয়ান-ডে ও ১২টি টি-২০ খেলবে। পৃথ্বী আসন্ন অক্টোবরেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনটি টেস্ট ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৪ নভেম্বর প্রথম টেস্ট খেলতে পারবেন না। ভারতীয় ক্রিকেটে এটি দ্বিতীয় ডোপিং ব্য়ানের ঘটনা ঘটল শেষ ১৮ মাসে। গতবছর জানুয়ারিতে ইউসুফ পাঠানকে পাঁচ মাস নির্বাসিত করেছিল বিসিসিআই।
Read full story in English