ডোপের জন্য় আট মাস ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত ছিলেন পৃথ্বী শ। রবিবার ক্রিকেটে ফিরেই নিজের জাত চিনিয়েছেন মুম্বইয়ের ওপেনার। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ৩৯ বলে ৬৩ রান করে গেলেন তিনি। সাতটি বাউন্ডারি এবং দু'টো ওভার বাউন্ডারিতে সাজানাে ইনিংসে পৃথ্বী নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন।
সুন্দর কামব্য়ক ইনিংসের পরেও সোশাল মিডিয়ায় চূড়ান্ত সমালোচিত হলেন ভারতীয় ওপেনার। পৃথ্বীর 'ঔদ্ধত্য়ের' ও 'অহঙ্কার' নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নেটিজেনরা। হাফসেঞ্চুরি করার পরেই পৃথ্বী ক্যামেরার দিকে লক্ষ্য করে নিজের ব্যাট তুলেছিলেন। আঙুলের ইশারায় কোথাও যেন তিনি বার্তা দিতে চেয়েছিলেন, “আপনারা মুখ চালাতেই থাকুন। আমার ব্যাটই সব জবাব দেবে।” পৃথ্বীর হাফ-সেঞ্চুরির ভিডিও বিসিসিআই টুইট করার পরেই শুরু হয়ে যায় পৃথ্বীকে নিয়ে কাঁটাছেঁড়া।
আরও পড়ুন-নির্বাসন থেকে ক্রিকেটে ফিরেই দুরন্ত ব্যাটিং পৃথ্বীর
Welcome back! He is making a comeback today and @PrithviShaw makes it a memorable one with a fine-half century for Mumbai against Assam in @Paytm #MushtaqAliT20. pic.twitter.com/hiBfiElhed
— BCCI Domestic (@BCCIdomestic) November 17, 2019
পৃথ্বীকে শুনতে হলো 'ওভাররেটেড', 'অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী'। কেউ প্রশ্ন তুললেন তাঁর আচরণ নিয়ে। কারোর মতে পৃথ্বীর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্থায়িত্ব বেশি দিনের নয়। এই প্রতিবেদনে রইল পৃথ্বীর সেলিব্রেশন নিয়ে টুইটারাত্তিদের মতামত।
Against Asam and attitude omg. Definitely got many ducks in international while making a comeback ????. When bat speak no need to tell anything by mouth.
— Sunny Kunal (@D11_24x7) November 17, 2019
This is the problem with the young players. Coming Back from a ban, scoring a half century against a relatively weaker bowling attack, and then making gestures. They need to learn to be humble. This over confident kid won't last long in the international arena. MARK MY WORDS!
— Shubham Agrawal (@imShubhamA) November 17, 2019
Shaw is so overrated. Shaw is the next Kambli. He will throw it away with this kind of poor attitude and arrogance.
— Raghav Nelli (@rnelli) November 17, 2019
চলতি বছর জুলাই মাসে বিসিসিআই পৃথ্বীকে সাসপেন্ড করেছিল। পৃথ্বী যে কাশির সিরাপ খেয়েছিলেন তাতে ছিল টারবুটালাইন, যা প্রায় কম-বেশি প্রতিটি কাশির সিরাপেই পাওয়া যায়। ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা)-র নিয়ম মতে এটি একটি নিষিদ্ধ উপাদান। যা কোনও ক্রিকেটারের নেওয়া নিষিদ্ধ। কাশির ওষুধ সেবন করেই ক্রিকেট থেকে এই ক’মাস দূরে থাকতে হয়েছিল পৃথ্বীকে।