বিশ্বকাপ জয়ের পর প্ৰথমবার কোচ গ্যালতিয়ের একসঙ্গে প্ৰথম একাদশে নামিয়েছিলেন দলের তিন সুপারস্টার মেসি-নেইমার-এমবাপেকে। সেই ম্যাচেই পয়েন্ট খুঁইয়ে বসল পিএসজি। রেইমসের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে নিশ্চিত দুই পয়েন্ট মাঠে রেখে এল পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মেসির এসিস্ট থেকে নেইমার গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। এরপরেই মার্কো ভেরাত্তি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর ১০ জন হয়ে যায় পিএসজি। ১০ জনের পিএসজিই তিন পয়েন্ট পাওয়ার ব্যাপারে ফেভারিট ছিল। তবে ৯৬ মিনিটে রেইমসের হয়ে গোলশোধ করে যান আর্সেনাল থেকে লোনে আসা তারকা ফোলারিন বলোগান।
এই নিয়ে শেষ তিন লিগ ম্যাচের দুটোতেই পয়েন্ট নষ্ট করল পিএজসি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেন্সের সঙ্গে ব্যবধান পাঁচ পয়েন্টে বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল মেসিদের কাছে। তবে পুনরায় পয়েন্ট নষ্টে কপাল পুড়ল কোচ গ্যালতিয়েরের। প্রথমার্ধে রেইমস আতঙ্কের সঞ্চার করেছিল পিএসজি বক্সে। মাঝমাঠে ভেরাত্তিট অভাব দারুণভাবে মিস করছিল পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধে ইতালিয়ান তারকাকে মাঠে নামিয়ে দেন কোচ।
৫১ মিনিটে মেসির শট অচরাফ হাকিমি হয়ে মেসির কাছে পৌঁছলে সেখান থেকে দলকে লিড এনে দেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। প্ৰথম গোল কিছুক্ষণের মধ্যেই পিএসজি ১০ জনে হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ক্যাপ্টেন মার্কুইনহোস বলোগানকে ফাউল করলে পেনাল্টি দেওয়া হয়। তবে ভার চেক করার দেখা যায় ভেরাত্তি বিল্ড আপ প্লে-তে মারাত্মক ট্যাকল করেছেন জুনিয়াকে। ভেরাত্তিকে পত্রপাঠ লাল কার্ড দেখিয়ে বের করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে পেনাল্টিও নাকচ হয়ে যায়।
১০ জন হয়ে যাওয়ার পরও ম্যাচে আধিপত্য বজায় রেখেছিল পিএসজি। যদিও গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না মেসি-এমবাপেরা। অচরাফ হাকিমির একটি গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। সের্জিও রামোসের হেড বারে লেগে প্রতিহত হয়।
রেফারি নির্ধারিত সময়ে খেলার শেষে পাঁচ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেন। সেই পাঁচ মিনিটের একদম শেষ লগ্নে পিএসজির বিরুদ্ধে গোল করে পয়েন্ট কেড়ে নেন বলোগান।
তিন তারকা খেলা সত্ত্বেও বারবার পয়েন্ট নষ্ট করতে হচ্ছে। সামনেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের মোকাবিলা করতে হবে। এমন অবস্থায় কপালে ভাঁজ আরও চওড়া হচ্ছে কোচ গ্যালতিয়েরের।