কেরিয়ারে যে সমস্ত টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন, সেই ট্রফিই জিতেছেন। দেশ ও ক্লাবের হয়ে সমস্ত ট্রফিই জেতা হয়ে গিয়েছে লিওনেল আন্দ্রেস মেসির। তবে একমাত্র বাকি ছিল ফ্রেঞ্চ কাপ। সেই কাপ জয় এখনই হচ্ছে না তাঁর। অপেক্ষা বাড়ল মেসির। ফ্রেঞ্চ কাপের শেষ ষোলোয় তারকা খচিত পিএসজি মুখোমুখি হয়েছিল মার্সেইয়ির। সেই ম্যাচে মেসি-নেইমার খেলা সত্ত্বেও পিএসজি ১-২ গোলে বিধ্বস্ত হল।
Advertisment
ফ্রেঞ্চ কাপ রেকর্ড সংখ্যক ১৪বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পিএসজি। রেকর্ড জয়ীদের মাটি ধরিয়ে প্রথমে পেনাল্টি থেকে গোল করে যান চিলির সুপারস্টার আলেক্সিস স্যাঞ্চেজ। সেনজিগ উন্ডারকে বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেছিলেন সের্জিও রামোস। পেনাল্টি থেকে ৩১ মিনিটে গোল করে যান স্যাঞ্চেজ।
নিজের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করে বিরতির আগেই অবশ্য দলকে সমতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রামোস। নেইমারের এসিস্ট থেকে রামোস হেডে বল জড়িয়ে দেন। প্রথমার্ধে গোলকিপার দোনারুম্মা বেশ কিছু সেভ না করলে পিএসজি আরও বড়সড় বিপদে পড়তে পারত।
বিরতিতে ১-১ গোলে ম্যাচ অমীমাংসিত থাকলেও ৫৭ মিনিটে মার্সেইয়ির হয়ে ২-১ করে যান ইউক্রেনের জাতীয় দলের স্ট্রাইকার মলিনভস্কি।পিএসজি বক্সের মধ্যে হানা দিয়েছিলেন এম্বেম্বা। তিনি স্যাঞ্চেজকে পাস বাড়ালে চিলিয়ান তারকা সরাসরি শ্যুট করেন পিএসজির গোলে। রিবাউন্ড থেকে বল পৌঁছয় মলিনভস্কির কাছে। যিনি হাফ ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন।
এরপরে গোটা ম্যাচে পিএসজি আক্রমণে চাপ বাড়লেও সমতা সূচক গোল আর করতে পারেনি বিখ্যাত ক্লাব। মার্সেইয়ি ডিফেন্ডাররা বারবার রুখে দেন মেসি-নেইমার-রামোসদের প্রচেষ্টা।
চোটের জন্য পিএসজির জার্সিতে ছিলেন না কিলিয়ান এমবাপে। তবে মেসি-নেইমারের মত দুই মহাতারকা থাকলেও জেতাতে পারলেন না দলকে।
লিগা ওয়ানে মার্সেইয়ি বর্তমানে পিএসজির পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। দুই দলের পয়েন্টের ফারাক ৮। যাইহোক, মার্সেইয়ি শেষবার ফ্রেঞ্চ কাপ জিতেছিল ১৯৮৮/৮৯ সিজনে। এবার পিএসজিকে হারানোর পরে ফ্রেঞ্চ কাপে তাদেরকেই আপাতত ফেভারিট ধরা হচ্ছে। পিএসজি-মার্সেইয়ি লিগা ওয়ানে ফের মুখোমুখি হচ্ছে ২৬ ফেব্রুয়ারি।