বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা কিংবদন্তি কেন ধরা হয় মেসিকে, ফের প্রমাণ পেল রবিবার। লিলের বিরুদ্ধে চাপে থাকা ম্যাচে শেষ মুহূর্তে অবিশ্বাস্য ফ্রিকিকে ৪-৩ গোলে জিতিয়ে দিলেন। গোটা ম্যাচ জুড়েই লিলের ডিফেন্ডারকে মেসিকে লাগাম পরিয়ে রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন। তবে মোক্ষম সময়েই বাজিমাত করে গেলেন আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তি।
মেসির সেট পিস রক্ষণের মানবপ্রাচীর ভেদ করে পোস্টে লেগে গোলে ঢুকে গেল। লিলে গোলকিপার লুকাস শ্যাভেলিয়েরের কার্যত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন জালে বল জড়ানোর ঘটনা। ৯৫ মিনিটে মেসির দুর্ধর্ষ গোলের সৌজন্যে লিগা ওয়ানে পিএসজি ৮ পয়েন্টে এগিয়ে গেল দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্সেইয়ির থেকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে না খেললেও এমবাপে ফিরেছিলেন ক্লাবের জার্সিতে।
১১ মিনিটে এমবাপের গোলেই এগিয়ে যায় প্যারিসের ক্লাবটি। বিপক্ষের দুজনকে মাটি ধরিয়ে ব্যক্তিগত ঝলক দেখিয়ে গোলকিপার শ্যাভেলিয়েরকে পরাস্ত করে যান। পিএসজির হয়ে দ্বিতীয় গোল নেইমারের। ভিতিনহার ক্রস দারুণভাবে ফিনিশ করে যান নেইমার।
আরও পড়ুন: সুইসাইড গোল, জাল ফাঁকা রেখে গোল! মুখ পোড়ানো মার্টিনেজের ওপর চটে লাল ভিলা কোচ
জোড়া গোল হজম করেও দমে যায়নি লিলে। বরং ২৪ মিনিটে আন্দ্রে গোমেসের ক্রস থেকে জালে বল রাখেন বাফোদে দিয়াকিতে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ধাক্কা খায় পিএজসি। গোড়ালিতে চোট পেয়ে নেইমার স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়েন। মার্কো ভেরাত্তি ফাউল করে বসেন দিয়েগো জালোকে। পেনাল্টি থেকে জোনাথন ডেভিড ঠান্ডা মাথায় ডোনারুম্মাকে পরাস্ত করে সমতা ফিরিয়ে দেন লিলের হয়ে।
এর কিছুক্ষণ পরেই জোনাথন বাম্বা লিলেকে ৩-২ লিড এনে দেওয়ার পর চাপে পড়ে যায় পিএসজি। তবে নাছোড় পিএসজিকে সমতা ফিরিয়ে দেন এমবাপে। হুয়ান বার্নেটের ক্রস থেকে ৩-৩ করেন। নির্ধারিত সময়ের খেলার শেষে ভাবা হচ্ছিল পিএসজি হয়ত পয়েন্ট নষ্ট করতে চলেছে। তবে মেসি ম্যাজিকে নাটকীয়ভাবে তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ল গ্যালতিয়েরের দল।
Read the full article in ENGLISH