রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানো কুস্তিগীরদের এবার পাল্টা একহাত নিলেন পিটি ঊষা। বৃহস্পতিবার ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি পিটি ঊষা জানিয়ে দিলেন, কুস্তিগীররা তাদের কাছে যাওয়ার পরিবর্তে ডাব্লুএফআই প্রধান ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য রাস্তায় নেমে পড়ায় ওঁদের শৃঙ্খলার অভাবই প্রকট হয়েছে।
নামি কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়া এবং সাক্ষী মালিকের নেতৃত্বে রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (ডব্লিউএফআই) সভাপতির বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভ-কে সামনে থেকে পরিচালনা করছেন। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং ভয় দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইওএ-র তরফে এখনও অভিযোগগুলির তদন্ত সম্পূর্ণ হয়নি। সরকার-গঠিত তদন্তকারী কমিটির রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়নি।
তিন মাসের দীর্ঘ অপেক্ষায় হতাশ হয়ে, ক্ষুব্ধ কুস্তিগীররা ২৩ এপ্রিল তাদের আন্দোলন পুনরায় শুরু করে। যন্তর মন্তরে চালু হয়ে যায় নতুন করে অবস্থান-বিক্ষোভ। WFI প্রধানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সরাসরি কুস্তিগীররা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে কুস্তিগিরদের এই পদক্ষেপে IOA-র মোটেই সায় নেই।
"যৌন হয়রানিতে নির্যাতিতদের পক্ষেই আমরা রয়েছি। তবে IOA-এর কমিটি এবং ক্রীড়াবিদদের কমিশন বিষয়টি দেখছে। রাস্তায় নামার বদলে (আবার), ওঁদের আমাদের কাছে আসা উচিত ছিল। কিন্তু ওঁরা মোটেও আইওএ-তে আসেনি, ” ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের পরে ঊষা সাংবাদিকদের বলছিলেন।
আইওএ কুস্তিগীরদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে কিনা জানতে চাওয়া হলে, উষা পাল্টা বলে দেন, “কিছু শৃঙ্খলা থাকা উচিত। ওঁরা আমাদের কাছে না এসে সোজা রাস্তায় নেমেছে। এটা খেলাধুলার জন্য মোটেও ভালো বিজ্ঞাপন নয়।” ভারতীয় অলিম্পিক কমিটির সহ-সচিব কল্যাণ চৌবে বলেন, “IOA সভাপতি ডঃ পিটি ঊষার বক্তব্য পরিষ্কার যে এই ধরনের আন্দোলন দেশের ভাবমূর্তির জন্য ভালো নয়। বিশ্বব্যাপী ভারতের সুনাম রয়েছে। এই নেতিবাচক প্রচার দেশের জন্য ভালো নয়।"
"আমরা শুধু কুস্তিগীরদের সঙ্গেই শুধু নয়, ভারতের প্রতিনিধিত্বকারী প্রত্যেক ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে থাকতে চাই, কিন্তু ওঁদেরও দেশের নিয়ম ও আইনের মানতে হবে। ওঁরা ধর্নায় বসে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ওঁদের সঙ্গে যোগ দিতে বলছেন। এই বিষয়টিই আমাকে হতাশ করেছে।" সেই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা দিয়েছেন পিটি ঊষা।
টোকিও অলিম্পিকের ব্রোঞ্জ পদক জয়ী বজরং পুনিয়া পাল্টা বলেছেন আইওএ সভাপতির বক্তব্য তাঁকে হতবাক করেছে, “উনি নিজে একজন ক্রীড়াবিদ এবং একজন মহিলা। আমরা ওঁর কাছ থেকে এরকম কঠোর প্রতিক্রিয়া নয় সমর্থন আশা করেছিলাম।"
"যদি আইওএ মনে করে ন্যায়বিচারের দাবিতে কুস্তিগীররা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে, তখন উনি নিজের একাডেমিতে কয়েকজন গুন্ডার কাছে আক্রান্ত হয়ে হয়রানির শিকার হয়ে নিজের দুর্দশা ব্যক্ত করেছিলেন তখন কী হয়েছিল?” বজরং পাল্টা জিজ্ঞাসা করেন।
Read the full article in ENGLISH