ফোর্বস ম্যাগাজিনে বিশ্বে ধনী মহিলা ক্রীড়াবিদদের প্রথম দশের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন ভারতের ব্যাডমিন্টন কন্যা পি.ভি. সিন্ধু। বিশ্বের অধিকাংশ ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় আধা-পেশাদার হওয়া সত্ত্বেও, রিও অলিম্পিকে রুপো জয়ী এই শাটলার ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে ২০১৮ সালের জুন মাসের মধ্যে ৮.৫ মিলিয়ান অর্থ আয় করেন। এই আয়ের মধ্যে তাঁর পুরষ্কার এবং সমস্ত চুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছেন লন টেনিস কিংবদন্তী সেরেনা উইলিয়ামস, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, সম্প্রতি বিশ্বের সেরা মহিলা টেনিস খেলোয়াড় এবং তিনবার গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ী সিমোনা হালেপ এবং উইম্বলডন বিজয়ী জার্মানির অ্যাঞ্জেলিক কার্বারকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন সিন্ধু। এই কন্যা যে শুধুমাত্র খেলা থেকেই আয় করেন এমনটা নয়, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও অনেক টাকা আয় করে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে, প্রায় ৮ মিলিয়ান ডলার আসে বিজ্ঞাপনের জগতে endorsement থেকে। প্রসঙ্গত, অন্যান্য খেলায় প্রাপ্ত পুরষ্কার অর্থের সমতুল্য নয় ব্যাডমিন্টন খেলার পুরষ্কার।
ফোর্বস ম্যাগাজিন লিখেছে, "ভারতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসাবে ২০১৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে সিন্ধু রৌপ্য পদক জিতে খেলার দুনিয়ায় তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। আপাতত তিনিই রুপো জয়ী প্রথম ভারতীয় মহিলা ক্রীড়াবিদ। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই ব্রিজস্টোন, গেটোরেড, নকিয়া, প্যানাসনিক, রেকিট-বেনকিসার সহ আরও ডজন খানেক অন্যান্য ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।" তবে এতেই শেষ নয়, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স এবং ভাইজাগ স্টিলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবেও দেখা গেছে পি.ভি. সিন্ধুকে।
সদ্য কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়ে পুনরায় মাঠে ফিরেছেন সেরেনা। যদিও তাঁর মেয়াদ শেষ হয়ে আসার কারণে খেলা থেকে তাঁর আয় হ্রাস পেয়েছে। তবুও খেলার বাইরেই তাঁর আয় আজও প্রায় ১৮.০৬২ মিলিয়ন ডলার। পুরস্কার হিসাবে আয় করেন মাত্র ৬২,০০০ ডলার।
ফোর্বস তালিকায় টেনিস খেলোয়ার ক্যারোলিন ওজনিয়াকি, স্লয়েন স্টিফেনস, গার্বেইনের মুগুরজা, মারিয়া শারাপোভা এবং সেরেনার বড় বোন ভেনাসের পর নাম লিখিয়েছেন সিন্ধু।
আমেরিকান প্রাক্তন পেশাদারী রেসিং ড্রাইভার ড্যানিকা প্যাট্রিক শীর্ষ দশের মধ্যে রয়েছেন ৯ নম্বর স্থানে। সিন্ধু বাদে এই তালিকায় তিনিই একমাত্র টেনিস খেলোয়াড় নন। অর্থ উপার্জনের নিরিখে সিমোনা হালেপ এবং অ্যাঞ্জেলিক কার্বারের মধ্যে বিরাজ করছেন ড্যানিকা।
রিও গেমস থেকে ফিরে আসার পর বিভিন্ন রাজ্য সরকার ও সরকারী সংস্থার কাছ থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা পুরস্কার পান সিন্ধু। প্রসঙ্গত, ফাইনালে এই ভারতীয়কে পরাজিত করে স্বর্ণপদক বিজয়ী ক্যারোলিনা মারিন, স্প্যানিশ সরকার থেকে মাত্র 70 লাখ টাকা পান।