দিন তিনেক আগের ঘটনা। বরাত জোরে রক্ষা পেয়ে যান বাংলার পেসার অশোক দিন্দা। ইডেন গার্ডেন্সে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলার সময় ব্যাটসম্যান বীরেন্দ্র বিবেক সিংয়ের শট তালুবন্দি করতে গিয়ে মারাত্মক চোট পান দিন্দা। তাঁর হাত ফসকে বল এসে কপালে সজোরে আঘাত করে। মাঠেই লুটিয়ে পড়েন বাংলার অভিজ্ঞ পেসার। আর এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার বোলারদেরও প্রোটেকশন গার্ডের প্রয়োজন বলেই মনে করছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও জয়দেব উনাদকাট।
বৃহস্পতিবার উনাদকাট টুইটারে অশ্বিনকে ট্যাগ করে লেখেন, "এবার সময় এসেছে বোলারদের জন্যও "ফেস-মাস্ক'' আনা হোক। এটা দেখে ভয় লাগছে যেভাবে প্রতিনিয়ত এরকম ঘটনা ম্যাচের মধ্যে হচ্ছে। আশা করি দিন্দা তুমি ভাল আছো। এ ব্যাপারে তুমি কী বলবে অ্যাশ ভাই?" উনাদকাটের টুইট দেখে অশ্বিন লেখেন, "আমি ২০১১ থেকেই বলে আসছি এই কথা। এ ধরণের ঘটনা টি-২০ ক্রিকেট আসার আগে হতো না। অবশ্যই কিছু একটা বদল ঘটেছে। কিন্তু সেটা কী বুঝতে পারছি না।"
আরও পড়ুন: ব্যাটসম্যানের শট সজোরে এসে লাগল কপালে, মাঠেই লুটিয়ে পড়লেন দিন্দা
ঘটনাচক্রে দিন্দার চোট সেদিন সেরকম গুরুতর ছিল না। ড্রেসিংরুমে ফিরে আসার আগে নিজের ওভারটা শেষ করেই মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। দিন্দার স্ক্যান রিপোর্ট দেখার পর ডাক্তাররা তাঁকে শুধু দু'দিনের বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন। আধুনিক ক্রিকেটে মাঠের মধ্যেই বলের আঘাতে প্রাণ হারানোর ঘটনা একাধিক রয়েছে। ফিল হিউজের স্মৃতি এখনও স্মৃতিতে টাটকা।
অতীতে ব্যাটসম্য়ানরা খালি মাথায় ক্রিকেট খেলতেন। কিন্তু দিনকাল বদলেছে। এরপর পেলমেট ও হেলমেট আসে ব্যাটসম্যানদের সুরক্ষায়। এমনকি এখন হেলমেটে নেট প্রটেক্টরও থাকে। উইকেটকিপার ও ক্লোজ ফিল্ডাররাও হেলমেট ব্যবহার করেন। আম্পায়রাও অনেক সময় সুরক্ষার জন্য় গার্ড (হ্যান্ড শিল্ড) ব্যবহার করেন। দেখতে গেলে বোলারদেরই কোনও প্রটেকটিভ গার্ড নেই। অথচ ব্যাটসম্যানের শটে আহত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি তাঁদের। এখন দেখার বোলারদের জন্য সত্যিই কোন ফেস-মাস্ক আসে কি না!