Ravichandran Ashwin speaks on Team India's super star culture: ভারতীয় দলের মহাতারকা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন সম্প্রতি দলের ভিতরে 'সুপারস্টার কালচার' বা অতিমাত্রায় ব্যক্তিকেন্দ্রিক সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ক্রিকেট একটি দলগত খেলা, এবং ব্যক্তিগত কীর্তি বা সেলিব্রিটি কালচারের উপর ফোকাস করলে দলের সমষ্টিগত লক্ষ্য ক্ষুণ্ণ হয়।
অশ্বিনের মতে, "আমরা অভিনেতা নই। দলের সাফল্য কখনও একজনের কাঁধে চাপানো যায় না। ক্রিকেটে জয় আসে সম্মিলিত প্রচেষ্টা, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং দলবদ্ধতার মাধ্যমে। কিন্তু আজকাল মিডিয়া ও সমাজে কিছু খেলোয়াড়কে 'সুপারস্টার' বানানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা দলের ভারসাম্য নষ্ট করে।"
৩৭ বছরের এই অফ-স্পিনার আরও যোগ করেন, "১৯৮৩ বা ২০১১-এর বিশ্বকাপজয়ী দলের কথা মনে করুন—সেই জয় ছিল সমগ্র দলের অবদান। কিন্তু এখন কোনো একটি বড় পারফরম্যান্সের পর শুধুমাত্র একজন বা দুজন খেলোয়াড়কে আলোচনায় কেন্দ্র করা হয়। এর ফলে তরুণ খেলোয়াড়রা বিভ্রান্ত হয়, তারা নিজের স্ট্যাটস্ বা ইমেজ নিয়ে বেশি মাথা ঘামায়।"
অশ্বিনের এই মন্তব্য ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)-এর কাছেও বড় বার্তা বয়ে আনল। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, "ম্যানেজমেন্টের উচিত সমস্ত খেলোয়াড়কে সমান গুরুত্ব দেওয়া এবং এমন পরিবেশ তৈরি করা যেখানে দলগত সিনার্জিই প্রধান লক্ষ্য হয়। কোচ ও ক্যাপ্টেনের ভূমিকা এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
এই প্রসঙ্গে তিনি টেস্ট ক্রিকেটের উদাহরণ টেনে বলেন, "টেস্টে সাফল্য পেতে গেলে আপনাকে ৫ দিন ধরে একসঙ্গে লড়তে হয়—এখানে কোনো ব্যক্তি একা হিরো হতে পারেন না। IPL-এর মতো টি-টোয়েন্টি লিগে ব্যক্তিগত কৌশল কাজে লাগলেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দলই প্রধান।"
উল্লেখ্য, অশ্বিন গত এক দশক ধরে ভারতের জন্য ৫০০-এর বেশি আন্তর্জাতিক উইকেট শিকার করেছেন। তাঁর এই আহ্বান ভবিষ্যতে ভারতীয় দলের কৌশলে কী প্রভাব ফেলে, সেটি এখন দেখার বিষয়।