/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/12/pak-aus.jpg)
প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া (টুইটার)
অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েই জাতিবিদ্বেষের মুখে পড়ল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এমনিতেই পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। ডেভিড ওয়ার্নার শেষবারের মত দীর্ঘতম ফরম্যাটে খেলতে নামছেন। তাঁর অবসরকালীন সময়ে মিচেল জনসন বোমা ফাটিয়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে দিয়েছেন। গোটা অজি ক্রিকেট মহল ওয়ার্নার বনাম জনসন দ্বৈরথে দু-ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে।
এমন অবস্থাতেই প্রস্তুতি ম্যাচে বিতর্কের মুখে পড়ল পাকিস্তান দল। প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল পাকিস্তান। অধিনায়ক হয়েই শন মাসুদ দুর্ধর্ষ ডাবল সেঞ্চুরি করলেন। সরফরাজ আহমেদ, বাবর আজম-ও রানের দেখা পেয়েছেন। পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে ৩৯১ রান তুলেও ফেলেছে।
তবে এসব কিছুকেই ছাপিয়ে গেল জাতিগত বিদ্বেষের বার্তা। প্রস্তুতি ম্যাচ চলাকালীনই পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে লেখা হল PAKI। দক্ষিণ এশিয়ায় যা গালিগালাজ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ এই স্কোরবোর্ড সম্বলিত হয়েই খেলা চালিয়ে যাওয়া হল। শেষে পুরো বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেন সাংবাদিক ড্যানিয়েল সাঈদ। তিনি টুইট করতেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। পাল্টে দেওয়া হয় স্কোরবোর্ড।
A clarifier on this from CA: “The graphic was an automatic feed from a data provider which had not been used previously for a Pakistan game. This was obviously regrettable, and the error we corrected manually as soon as it came to light.” https://t.co/7FttR2iZTR
— Daany Saeed (@daanysaeed) December 6, 2023
ক্ষমা চাওয়া হয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফে। লেখা হয়, "এই গ্রাফিক তথ্য প্রদানকারী সংস্থার তরফে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আসে। এই তথ্য প্রদানকারী সংস্থা এর আগে কখনও পাকিস্তান ম্যাচে ব্যবহৃত হয়নি। বিষয়টি নজরে আসার পরই আমরা ম্যানুয়ালি বিষয়টি সংশোধন করে দিয়েছি। এর জন্য অবশ্যই আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।"
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে খেলতে নামছে দুই দল। ১৪ তারিখে পারথের ওয়াকায় প্ৰথম টেস্টে নামছে দুই দল। অস্ট্রেলিয়ায় পাকিস্তানের রেকর্ড মোটেই ভালো নয়। অজি মুলুকে মাত্র চারটে টেস্ট ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে শেষবার টেস্টে জয় এসেছিল ১৯৯৫-এ। ওয়াসিম আক্রমের অধিনায়কত্বে। এর পরে দীর্ঘ ২৮ বছর অজি দেশে জয় পায়নি পাকিস্তান। শন মাসুদের হাত ধরে সেই হারের ট্র্যাডিশন ঘোচাতে পারবে পাকিস্তান, সেটাই আপাতত দেখার।