Rahul Dravid Head Coach Contract: নতুন কোচের সন্ধান শুরু করে দিয়েছে বিসিসিআই। হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে বোর্ডের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে টি২০ বিশ্বকাপের পর। হেড কোচের পদে আবেদন করার জন্য বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে বিসিসিআই। পুনরায় কোচ হওয়ার জন্য দ্রাবিড় আবেদন করতেই পারেন নতুন করে। তবে জানা যাচ্ছে, জাতীয় দলের হেড কোচ হতে আর আগ্রহী নন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরেই দ্রাবিড়ের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে বোর্ডের তরফে তাঁর সঙ্গে এক বছরের চুক্তি বর্ধিত করা হয়। এবার তিনি নিজেই আর চাইছেন না জাতীয় দলের কোচের মেয়াদ আরও বাড়াতে। স্পোর্টসস্টার-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র তারকা নাকি দ্রাবিড়কে কোচের পদে থেকে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। তবে তিনি পত্রপাঠ সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই মনস্থির করে ফেলেছেন।
জানা যাচ্ছে, বোর্ডের তরফে দ্রাবিড়কে টেস্টে কোচ হিসাবে থেকে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে বোর্ড সীমিত ওভারের ফরম্যাটে নতুন কোচ নিয়োগ করত। তবে দ্রাবিড় নিজেই রাজি না হওয়ায় বোর্ডের তরফে ফরম্যাট ভিত্তিক স্প্লিট কোচ নয় একজন কোচ-ই খোঁজা হচ্ছে, যিনি তিন ফরম্যাটেই দায়িত্ব সামলাবেন।
দ্রাবিড়ের অনুপস্থিতিতে এই কোচিং পর্বে একাধিকবার ভিভিএস লক্ষ্মণকে হেড কোচ হিসেবে দেখা গিয়েছে। তিনি নিজেও হেড কোচের পদে বসতে ভীষণভাবে আগ্রহী। তবে লক্ষ্মণ বোর্ডের পছন্দের তালিকার মধ্যে নেই। বোর্ডের তরফে এবার বিদেশি কোচদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
জয় শাহ আগেই এই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে জয় শাহ বলে দিয়েছিলেন, "দেশি না বিদেশি কোচ- সেটা আমরা নয়, সিএসি (ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি) নির্ধারণ করবে।"
বিদেশি কোচ হিসেবে আইপিএলে কোচিং করানো একাধিক মহা-গুরুর নাম ভেসে উঠেছে। দিল্লি ক্যাপিটালস-এর রিকি পন্টিং থেকে সিএসকে-র স্টিফেন ফ্লেমিং এবং লখনৌ সুপার জায়ান্টস-এর জাস্টিন ল্যাঙ্গার আপাতত বোর্ডের পছন্দের তালিকায়। তবে বছরের ১০ মাস কোচিং করানোর জন্য ভারতীয় দলের সঙ্গে গোটা বিশ্ব পরিভ্রমন করা- এটা বিদেশি কোচেদের কাছে চ্যালেঞ্জ। পরিবার ছেড়ে কোন বিদেশি কোচ এই চ্যালেঞ্জ নিতে আগ্রহী হন, সেটা স্পষ্ট করে দেবে আগামী কয়েকদিন।