Rahul Dravid refuses prize money: বরাবর সমতায় বিশ্বাস করে এসেছেন। নিজের প্রাপ্য যতটুকু ততটাই গ্রহণ করার মতাদর্শ বরাবর। টিম ইন্ডিয়ার কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর লগ্নেও সেই নীতি বজায় রাখলেন রাহুল দ্রাবিড়।
ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের পরেই সচিব জয় শাহ ১২৫ কোটি টাকা পুরস্কার মূল্য ঘোষণা করেছিলেন। বণ্টনের নিয়মে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল স্কোয়াডের বাকি ক্রিকেটারদের মতই ৫ কোটি টাকা পাবেন হেড কোচ দ্রাবিড়। তাঁর সহকারীদের (ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর, বোলিং কোচ পরশ মামব্রে এবং ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ) প্রত্যেকের জন্য ২.৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। তবে দ্রাবিড় সহকারীদের সমান পুরস্কার মূল্যই বোর্ডের কাছে দাবি করেছেন। সহকারীদের তুলনায় অতিরিক্ত ২.৫ কোটি টাকা নিতে অসম্মত হয়েছেন গুরু দ্রাবিড়।
এবারই প্ৰথম নয়, এর আগে ২০১৮-য় যখন অনুর্দ্ধ-১৯ দলকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেন তিনি। সেই সময় দ্রাবিড়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫০ লক্ষ টাকা পুরস্কার মূল্য। বাকি সহকারীদের জন্য ২০ লক্ষ করে এবং সমস্ত যুব ক্রিকেটারদের ভাগে ছিল ৩০ লক্ষ করে টাকা। তবে দ্রাবিড় পুরস্কার মূল্য বণ্টনের এই ফর্মুলা মানতে চাননি। সকলের জন্য সমান পুরস্কার মূল্য সেবার-ও দাবি করেন।
দ্রাবিড়ের কথা মেনে নিয়েই বোর্ড এরপরে পরিমার্জিত পুরস্কার মূল্য ঘোষণা করে। স্কোয়াডের কোচিং স্টাফ এবং ক্রিকেটারদের সকলের জন্য বরাদ্দ হয় ২৫ লক্ষ টাকা।
প্রবাদপ্রতিম ক্রিকেট কেরিয়ারে কখনই বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাননি। ২০০৭-এ অধিনায়ক হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গ্রুপ পর্ব থেকেই টিম ইন্ডিয়ার বিদায় প্রত্যক্ষ করেছেন। তারপর ট্রফি জেতা হয়নি কখনও। এরপরে কোচের জোব্বা গায়ে চড়িয়েই দ্রাবিড় জিতে ফেললেন জোড়া বিশ্বকাপ ট্রফি। যুব দলের সঙ্গে সিনিয়র পর্যায়েও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কোচ তিনি। ১৭ বছর আগে যে ক্যারিবিয়ান মুলুক তাঁকে লজ্জার প্রহর উপহার দিয়েছিল, সেই দেশেই এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। একটা বৃত্ত-ও যেন সমাপ্ত হল দ্রাবিড়ের বিশ্বজয়ের সঙ্গে।