ভারতের বিশ্বকাপ বিপর্যয়ে বারবার খলনায়ক ধরা হচ্ছে এই ফ্যাক্টরকে। বিরাট কোহলি থেকে জসপ্রীত বুমরা, এমনকি কোচ রবি শাস্ত্রীও জানিয়ে দিয়েছেন, বায়ো বাবলের ক্লান্তিই ভারতকে সেরা ছন্দে খেলতে দেয়নি। দীর্ঘদিন ধরে জৈব বলয়ে কাটানো রীতিমত চ্যালেঞ্জিং। তবে দায়িত্ব নিয়েই এই বিষয়ে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন নতুন কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
ইন্ডিয়ান একপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির সামনে কোচিংয়ের প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সময় দ্রাবিড় ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে নিজের উদ্বেগ ব্যক্ত করেছিলেন। জানা গিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই বোর্ডের সচিব জয় শাহের সঙ্গে আলোচনা করবেন, কীভাবে রোটেশন পদ্ধতিতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম সমেত ক্রিকেটারদের ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন: ভাগ্য সঙ্গ দিল না ইন্ডিয়ার এই পাঁচ তারকাকে! জাতীয় দল থেকে সটান বাদ
এতদিন পর্যন্ত ক্রিকেটারদের বিশ্রাম, রোটেশন এবং ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি পুরোটাই ছিল নির্বাচকদের হাতে। তবে জাতীয় দলের একাধিক তারকা বায়ো বাবল ক্লান্তি নিয়ে মুখ খোলায়, দ্রাবিড় দায়িত্ব নিয়ে এই বিষয়টি সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন। টানা ক্রিকেটে আগামী বছরের টি২০ বিশ্বকাপে যাতে এবারের মত পরিস্থিতি না তৈরি হয়, তা এড়াতে বদ্ধপরিকর বোর্ড।
আলাদা আলাদা ফরম্যাটে পৃথক পৃথক স্কোয়াড গঠন করে যাতে ক্রিকেটাররা বিশ্রাম পান, সেই বিষয় নিশ্চিত করবেন দ্রাবিড়। এই কারণেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টি২০ সিরিজে বিরাট কোহলি, জসপ্রীত বুমরা, শার্দূল ঠাকুর, রবীন্দ্র জাদেজাদের মত তারকাদের বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়ায় অতীত হার্দিক! মুখের ওপর দরজা বন্ধ করা হল তারকার
বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, "বিসিসিআই এবার ঠিক করবে, কোন ক্রিকেটারের কতটা বিশ্রাম প্রয়োজন। ক্লান্তির বিষয় নিয়ে বোর্ড রীতিমত ওয়াকিবহাল। বিশ্রামে থাকা কোনও ক্রিকেটারের পরিবর্ত যদি ভাল-ও খেলে, তাহলেও সেই ক্রিকেটার সুযোগ পাবে যথা সময়ে।"
জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা প্রায় ছয় মাস ধরে টানা ক্রিকেট খেলে চলেছেন। ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ খেলার পরে ক্রিকেটাররা আমিরশাহিতে আইপিএলে চলে আসে। তারপরে টি২০ বিশ্বকাপ শুরু হয়। আইপিএল শেষের পরে কোনও ব্রেক না নিয়েই ক্রিকেটাররা বিশ্বকাপ অভিযানে নেমে পড়ে। আগামী বারো মাসে বিসিসিআই কীভাবে ক্রিকেটারদের পর্যাপ্ত বিশ্রামের বিষয়টি নিশ্চিত করে, সেটাই আপাতত দেখার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন