ইস্টবেঙ্গলে ভবিষ্যত সঙ্কট। ক্লাব, ইনভেস্টরের মধ্যে এখনও চুক্তিপত্র সই না হওয়ায় নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন ফুটবলাররা। ক্লাব অপেক্ষা করতে বললেও অনেকেই মানসিক চাপ সহ্য না করতে পেরে দল ছাড়ছেন। কয়েকদিন আগেই গোলকিপার শঙ্কর রায় দল ছেড়েছিলেন। নাম লিখিয়ে ছিলেন পড়শি মহামেডান ক্লাবে।
এবার শঙ্করের পথেই হাঁটলেন রাহুল পাসোয়ান। যাঁকে গত মরশুমে সই করিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা লিগের নজরকাড়া স্ট্রাইকারকে ইস্টবেঙ্গল দ্বিতীয় ট্রান্সফার উইন্ডোতে তুলে নিয়েছিল। ডার্বির মহারণের আগে সেই চুক্তি অনেক আশা নকয়ে হাজির হয়েছিল লাল হলুদ শিবিরে। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই একই পরিস্থিতি। দল গঠন তো দূর, ক্লাবের সঙ্গে ইনভেস্টর চুক্তি এখনও সম্পন্ন হয়নি। আলোচনার টেবিলেই আটকে রয়েছে ড্রাফট।
আরও পড়ুন: হ্যামিলকে পাওয়ার পরই দুঃসংবাদ! ফেরান্দোর সঙ্গে ‘ঝামেলা’য় বাগান ছাড়ছেন সন্দেশ
ক্লাব সমান্তরালভাবে দল গঠনের অনুরোধও জানিয়েছে ইমামিকে। তবে বিনিয়োগকারী সংস্থার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চুক্তিপত্র সই না হলে দলগঠনের কাজে হাত দেবেন না তাঁরা। এমন জটিলতায় আটকে পড়েছে ফুটবলারদের ভাগ্য। তাই লাল হলুদ শিবির ছাড়াটাই ভবিতব্য হয়ে উঠেছে তারকাদের কাছে।
রফিকও কিছুদিন আগে সই পর্ব চূড়ান্ত করে ফেলেছেন চেন্নাইয়িন এফসিতে। রাহুল পাসোয়ান গত কলকাতা লিগে বিএসএস-এর জার্সিতে ছয়টা গোল করে টপ স্কোরার হয়েছিলেন। ইউনাইটেড এসসি, কালীঘাট মিলন সঙ্ঘে খেলা এই তারকার ওপর বেশ কিছুদিন নজর রাখছিল ইস্টবেঙ্গল। ভবিষ্যতের সম্ভাব্য তারকা হিসাবে মারিও রিভেরার ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েছিলেন। তবে আইএসএলে একটার বেশি ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি।
লাল হলুদ সংসারে জায়গা পাওয়ার পরে উচ্ছ্বসিত রাহুল জানিয়ে দিয়েছিলেন, “ইস্টবেঙ্গলের মত ঐতিহ্যবাহী ক্লাবে যোগ দেওয়ার ঘটনা অনেকটা স্বপ্নপূরণের মত মনে হচ্ছে। বাংলার যে কোনও উঠতি ফুটবলার বড় দলে খেলার স্বপ্ন দেখে। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। ক্লাবকে নিজের সেরাটা দিয়ে সাহায্য করতে আমি প্রস্তুত।”
আরও পড়ুন: চুক্তি সঙ্কটে ভবিষ্যৎ অন্ধকার! বাধ্য হয়ে ইস্টবেঙ্গল ছাড়লেন বাগানের আইলিগ জয়ী তারকা
কোচ মারিও রিভেরাও রাহুলকে পেয়ে বলে দিয়েছিলেন, "পাসোয়ান সম্ভাবনাময় উঠতি প্রতিভা। দলের পক্ষে দারুণ সংযোজন হতে চলেছে এই রিক্রুটমেন্ট। আমি নিশ্চিত দলে দারুণ খেলবে ও।”
সেই সমস্ত ঘটনা এক মরশুম পেরোনোর আগেই অতীত হয়ে গেল। অনিশ্চয়তার প্রহর ঠেলে রাহুল আপাতত মহামেডানের নিশ্চিত সংসারে চলে গেলেন।