ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় ডুয়েল ক্রীড়া বিশ্বের সেরা লড়াইয়ের অন্যতম। মাঠের লড়াইয়ের তাপ-উত্তাপের সঙ্গী হয়ে যায় দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকরাও। আর এই চমকপ্রদ লড়াই ঘিরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক গল্প-কাহিনী। মানসিকভাবেও লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন দুই দেশের ক্রিকেটাররা।
বীরেন্দ্র শেওয়াগকে জড়িয়ে এমনই সেই ঘটনার কথা এবার শোনালেন পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার রানা নাভেদ উল হাসান। নাদির আলি পডকাস্টে রানা নাভেদ বলেছেন, "একটা ঘটনার কথা বলি। আমাদের বিপক্ষে একটা ম্যাচে শেওয়াগ ৮৫ রানে ব্যাট করছিল। ২০০৪/০৫ সিরিজের কথা বলছি যেটা আমরা ভারতের মাটি থেকে জিতে এসেছিলাম। সেই টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার আমি হই। তবে সিরিজে একসময় আমরা ০-২'এ পিছিয়ে পড়েছিলাম। ওটা পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ছিল। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে শেওয়াগ বড় বড় শট হাঁকাচ্ছিল। ওঁরা প্রায় ৩০০-র ধারেকাছে চলে গিয়েছিল। শেওয়াগ ৮৫ রানে ব্যাট করছিল। ইঞ্জি (ইনজামাম উল হক) ভাইয়ের কাছ থেকে বল চেয়ে একটা স্লো বাউন্সার দিই।"
"এরপরে শেওয়াগের কাছে গিয়ে বলি, কীভাবে স্লো বাউন্সার খেলতে হয় জানিস না। পাকিস্তানে থাকলে তোর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হত না। পাল্টা ও-ও আমাকে দু-চার কথা শুনিয়ে দেয়। বোলিং এন্ডে ফেরার সময় ইঞ্জি ভাইকে বলি, ও এখুনি আউট হয়ে যাবে। শুনে ইঞ্জিও অবাক হয়ে যায়। পরের বলটাই ব্যাক অফ দ্য লেন্থ ছিল। ক্রুদ্ধ শেওয়াগ বাউন্ডারির বাইরে বল হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেয়। শেওয়াগের উইকেট এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় শেষমেশ যে আমরা ম্যাচটা জিতে যাই। এগুলো ফাস্ট বোলারদের কিছু লুকোনো অস্ত্র।"
রানা নাভেদ আরও জানান, "শেওয়াগকে আউট করা সবথেকে সহজ। তবে দ্রাবিড়কে বোলিং করা ভীষণ কঠিন।"
Read the full article in ENGLISH