ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কেরিয়ারে শেষবার মাঠে নেমেছেন রঙ্গনা হেরাথ। গলে চলছে দুই দেশের মধ্যে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট। গল টেস্টের পরেই ক্রিকেটকে আলবিদা বলবেন শ্রীলঙ্কার বাঁ-হাতি স্পিনার। ১৯ বছর আগে এই মাঠেই ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে অভিষেক হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রের অন্যতম সেরা বোলারের। আর এখানেই তিনি খেলবেন জীবনের বিদায়ী ম্যাচ। শেষটা স্মরণীয় করে রাখলেন হেরাথ।
বিশ্বের তৃতীয় বোলার ও দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে টেস্ট ম্য়াচে এক মাঠে একশো উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন হেরাথ। এর আগে এই বিরল কৃতিত্ব রয়েছে তাঁরই প্রাক্তন সতীর্থ ও কিংবদন্তি স্পিনার মুথাইয়া মুরলীথরনের। ব্রিটিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসনও রয়েছেন এই এলিট ক্লাবে। মুরলী একশোর বেশি উইকেট নিয়েছেন তিনটি ভেন্যুতে- সিংহলি স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ড (কলম্বো), আসগিরিয়া স্টেডিয়াম (ক্যান্ডি) ও গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। অ্যান্ডারসনের লর্ডসেই রয়েছে উইকেটের সেঞ্চুরি।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গল টেস্টের পরেই অবসর নেবেন হেরাথ
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুটকে ফেরাতেই এই মাইলস্টোন স্পর্শ করে ফেলেন হেরাথ। এটাই হেরাথের টেস্ট কেরিয়ারে ৪৩১ তম শিকার। রিচার্ড হ্যাডলিরও রয়েছে ৪৩১টি উইকেট। হ্যাডলিকে স্পর্শ করলেন তিনি। আর তিনটি উইকেট নিতে পারলে হেরাথ স্পর্শ করে ফেলবেন কপিল দেবকে। চলতি টেস্ট সিরিজ শেষ করে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের ওয়ান-ডে খেলবে ইংল্যান্ড। তারপর একটি মাত্র টি-২০ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
হেরাথ মুরলীথরনের সঙ্গেও খেলেছেন দীর্ঘদিন। মুরলীর অবসরের পর দ্বীপরাষ্ট্রের স্পিনিং বিভাগের পুরোধা হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১০ পর্যন্ত মুরলীর সঙ্গে খেলেছেন হেরাথ ২২টি টেস্টে খেলে ৭১টি উইকেট নিয়েছিলেন। এরপর ৩৫৯টি উইকেট আসে তাঁর ঝুলিতে। দ্বীপরাষ্ট্রের টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন হেরাথ। বোলিংয়ে সেভাবে বৈচিত্র্য নেই হেরাথের। কিন্তু লম্বা স্পেল করে ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য্য়ের বাঁধ ভাঙতেন তিনি ওস্তাদ।