ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই জীবনে শেষবার মাঠে নামছেন রঙ্গনা হেরাথ। গলে প্রথম টেস্ট খেলার পরেই অবসর নেবেন শ্রীলঙ্কার বাঁ-হাতি স্পিনার। ১৯ বছর আগে এই মাঠেই ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে অভিষেক হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রের অন্যতম সেরা বোলারের। আর এখানেই খেলবেন জীবনের শেষ ম্যাচ।
হেরাথের ঝুলিতে রয়েছে ৪৩০টি টেস্ট উইকেট। গলে তাঁর সামনে সুযোগ থাকবে রিচার্ড হ্যাডলি (৪৩১) ও কপিল দেবকে (৪৩৪) ছাপিয়ে যাওয়ার।শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট প্রাপকদের তালিকায় দু’নম্বরে রয়েছেন হেরাথ। মুথাইয়া মুরলীথরনের (৮০০) পরেই তিনি। এই মুহূর্তে সক্রিয় বোলারদের মধ্যে তিন নম্বরে রয়েছেন বছর চল্লিশের ক্রিকেটার। এক নম্বরে রয়েছেন ব্রিটিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন (৫৬৪), দ্বিতীয় স্থানে ইংল্যান্ডেরই স্টুয়ার্ট ব্রড (৪৩৩)। হেরাথের ক্রিকেটীয় কেরিয়ার মুরলীথরনের সঙ্গে ও মুরলীথরনে পরবর্তী সময়ও বিস্তৃত। মুরলীর অবসরের পর দ্বীপরাষ্ট্রের স্পিনিং বিভাগের ব্যাটন উঠেছিল হেরাথের হাতে। তিনি সফলভাবে সেই কাজে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ২০১০ পর্যন্ত মুরলীর সঙ্গে খেলেছেন হেরাথ। সেসময় ২২টি টেস্টে ৭১টি উইকেট নিয়েছিলেন। এরপর ৩৫৯টি উইকেট আসে তাঁর ঝুলিতে। টেস্ট টিমের নিয়মিত সদস্য ছিলেন তিনি। হেরাথের বলে সেভাবে কোনও বৈচিত্র্য ছিল না। কিন্তু লম্বা স্পেল করেই ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য্য়ের বাঁধ ভাঙতেন তিনি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করল শ্রীলঙ্কা
২০১১-তে হেরাথের জন্য শ্রীলঙ্কা প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট জয় পেয়েছিল। ১১টি উইকেট এসেছিল তাঁর। ২০১২-তেও বোলারদের তালিকায় এক নম্বরে ছিলেন তিনি ৬০টি উইকেট নিয়ে। দু’বছর পর কলম্বোতে শ্রীলঙ্কাকে নাস্তানাবুদ করেছিলেন তিনি। ১৮৪ রানের বিনিময় ১৪টি উইকেট নিয়েছিলেন। এত সাফল্যের পরেও হেরাথের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছিল তাঁর ফিটনেস। এছাড়াও চোট-আঘাতে জর্জরিত হয়ে পড়েন তিনি। গতবছর ভারতের বিরুদ্ধে পিঠের ব্যাথা আর হাঁটুর সমস্যায় তৃতীয় টেস্ট খেলা হয়নি। হেরাথের অবসরে শেষ হয়ে যাবে শ্রীলঙ্কার একটা অধ্যায়। আরও একজন হেরাথের খোঁজে থাকবে দ্বীপরাষ্ট্র।