Hanuma Vihari: নেতৃত্ব থেকে ধাক্কা খাওয়ার পর ছেড়ে দিলেন দল-ই! টিম ইন্ডিয়ার 'বাতিল' তারকা বোমা ফাটালেন প্রকাশ্যে
Hanuma Vihari Andhra Pradesh captaincy: রঞ্জিতে দলের বিদায়ের পরেই অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার বিপক্ষে মুখ খুললেন বিহারি। অভিযোগ করলেন, তাঁর সঙ্গে স্কোয়াডের এক সদস্যের সমস্যাকে অজুহাত করে তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরেই দল ছাড়ার ঘোষণাও করে দেন তিনি।
Hanuma Vihari Andhra Pradesh captaincy: রঞ্জিতে দলের বিদায়ের পরেই অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার বিপক্ষে মুখ খুললেন বিহারি। অভিযোগ করলেন, তাঁর সঙ্গে স্কোয়াডের এক সদস্যের সমস্যাকে অজুহাত করে তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরেই দল ছাড়ার ঘোষণাও করে দেন তিনি।
World Cup India vs England 2nd Test Playing 11: দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের জন্য মরিয়া টিম ইন্ডিয়া।(ছবি-টুইটার)
Ranji Trophy 2024: সোমবারই রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালে মধ্যপ্রদেশের কাছে হেরে গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। তারপরেই রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকে একহাত নিলেন হনুমা বিহারি (Hanuma Vihari)। মরশুমের শুরুতে তারকা ব্যাটারের হাতেই ছিল নেতৃত্ব। তবে বাংলার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের পরেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। দায়িত্ব পান রিকি ভূঁই। টপ অর্ডার ব্যাটার হিসাবেই রঞ্জিতে খেলছিলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন এই তারকা।
Advertisment
আর এবার রঞ্জিতে দলের বিদায়ের পরেই অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার বিপক্ষে মুখ খুললেন বিহারি। অভিযোগ করলেন, তাঁর সঙ্গে স্কোয়াডের এক সদস্যের সমস্যাকে অজুহাত করে তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরেই দল ছাড়ার ঘোষণাও করে দেন তিনি।
হারের পরে বিতর্কিতভাবে হনুমা বিহারি ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে লিখে দেন, "বাংলার বিপক্ষে প্ৰথম ম্যাচ চলাকালীন দলের ১৭ নম্বর ক্রিকেটারের ওপর চিৎকার করি। সেই প্লেয়ার নিজেই বাবাকে অভিযোগ করে, যিনি আবার একজন রাজনীতিবিদ। পাল্টা সেই ব্যক্তি ক্রিকেট সংস্থার কাছে আমাকে শাস্তির তদ্বির করেন। গতবারের ফাইনালিস্ট দল বাংলার বিপক্ষে আমরা ৪১০ রান সফলভাবে চেজ করলেও বিনা কারণে আমাকে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে বলা হয়।"
Advertisment
কে সেই ১৭নম্বর জার্সি ধারী ক্রিকেটার, তাঁর নাম বিহারি না বললেও সোশাল মিডিয়ায় মুখ খোলেন উইকেটকিপার-ব্যাটার কেএন প্রুধভিরাজ। তিনি লেখেন, "তোমরা যাঁকে কমেন্ট বক্সে খুঁজছ, সেই ক্রিকেটার আমি। তোমরা যা শুনেছ, তা সর্বৈব মিথ্যা। কেউই খেলার থেকে বড় হতে পারেন না। আর আমার আত্মসম্মান বোধ বরাবর প্রখর। কদর্য ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ যে কোনও প্ল্যাটফর্মেই মেনে নেওয়া যায় না। দলের সকলেই জানেন সেদিন কী ঘটেছিল। সহানুভূতি কুড়োনোর এই খেলা চালিয়ে যাও যতটা পারো।"
গত বছর বিহারির নেতৃত্বে অন্ধ্রপ্রদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিল। এই একই ভেন্যুতে মধ্যপ্রদেশের কাছে হেরে অভিযান সমাপ্ত হয়ে গিয়েছিল। হাতে চোট নিয়েই ডান হাতি বিহারি বাঁ হাতে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। তবে দলের জয় এড়াতে পারেননি।
হনুমা বিহারি আরও লিখেছেন, "আমি কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি। তবে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা মনে করেছে, এই ক্রিকেটার তাঁর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ যে দলের জন্য গত বছর ননিজের জীবন উপেক্ষা করে বাঁ হাতে ব্যাট করতে রাজি হয়েছিল, যে গত সাত সিজনে পাঁচবার-ই দলকে নকআউটে নিয়ে গিয়েছিল, যে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ১৬ টেস্ট খেলেছে। আমি বিড়ম্বিত হয়েছিলাম। তবে স্রেফ খেলা এবং দলকে সম্মান করি বলেই এই সিজনে খেলা চালিয়ে যেতে রাজি হই।"
"দুঃখের বিষয় হল, ক্রিকেট সংস্থা মনে করে, তাঁরা যা বলবেন, সেটাই ক্রিকেটারদের মেনে নিতে হবে। এবং তাঁদের জন্যই ক্রিকেটাররা খেলছেন। ঠিক করে নিয়েছি, নিজের সম্মান খুইয়ে ফেলায় আমি আর কোনওদিন অন্ধ্রের হয়ে খেলব না। দলকে অনেক ভালোবাসি। যেভাবে প্রত্যেক সিজনে আমরা উন্নতি করছি, সেটা ভালো লাগে। তবে ক্রিকেট সংস্থাই আমাদের উন্নতি চায় না।"
২০২২-এ জাতীয় দলের হয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ২০২৩-২৪ সিজনের শুরুতে মধ্যপ্রদেশের হয়ে খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। তবে অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার তরফে এনওসি শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। তারপরে আরও একটা সিজনে রাজ্য দলের নেতৃত্ব দিতে রাজি হন।