দু-দিন আগেই দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের নবম বর্ষপূর্তি ছিল ভারতের। সেই উপলক্ষেই রবি শাস্ত্রী ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্ত জয়ের ছবি পোস্ট করে দেশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। সেই ছবিকে কেন্দ্র করেই ছোটখাটো বিতর্ক ভারতীয় ক্রিকেট মহলে।
ঘটনা হলো, সেই ছবিতে জাতীয় দলের কোচ শাস্ত্রী ট্যাগ করেছিলেন মাত্র শচীন ও কোহলিকে। এতেই কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে যুবরাজ পাল্টা শাস্ত্রীকে বলেন, তিনি সম্ভবত তাঁর ও ধোনির কথা ভুলে গিয়েছেন। তাঁরাও বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। যুবি সরাসরি লেখেন, "থ্যাংকস সিনিয়র! আপনি আমাকে আর ধোনিকেও ট্যাগ করতে পারেন। আমরাও সেই দলের সদস্য ছিলাম।"
তবে শাস্ত্রী রীতিমতো ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি সামাল দেন। তিনি যুবরাজকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। তিনি পাল্টা লেখেন, "বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ এলে তুমি মোটেই জুনিয়র নও। তুমি লেজেন্ড।"
When it comes to World Cups, you are no Junior. Tussi Legend Ho @YUVSTRONG12 ! ???? https://t.co/bnZHTyFd8x
— Ravi Shastri (@RaviShastriOfc) April 3, 2020
Many Congratulations Guys! Something you will cherish all your life. Just like we from the 1983 group #WorldCup2011 - @sachin_rt @imVkohli pic.twitter.com/1CjZMJPHZh
— Ravi Shastri (@RaviShastriOfc) April 2, 2020
২০১১ সালের বিশ্বকাপ প্রতিটি ভারতীয়র কাছেই স্পেশাল। দুরন্ত খেলে ভারত বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল। ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা।
সেই ম্যাচেই দ্বিতীয় ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে বীরেন্দ্র শেওয়াগ ও শচীন তাড়াতাড়ি ফিরে যাওয়ার পরে কোহলির সঙ্গে সাময়িক ইনিংস খেলে দলকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেন গম্ভীর। এরপরে ধোনির সঙ্গে জুটিতে গুরুত্বপূর্ণ ১০৭ রানের পার্টনারশিপ যোগ করে যান তিনি। ৪২ ওভারে থিসারা পেরেরার বলে গম্ভীর যখন আউট হন তখন শতরান থেকে মাত্র ৩ রান দূরে ব্যাট করছিলেন। ৯৭ রানে গম্ভীর আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার পরে ধোনি ভারতের জয় নিশ্চিত করেন।
৯১ রানের ইনিংস উপহার দেন দলনায়ক ধোনি। যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গে ৫৪রানের দুরন্ত জুটি গড়ে তোলেন ধোনি। নুয়ান কুলশেখারার বলে আইকনিক ছক্কা হাঁকিয়ে দেশকে পুনরায় বিশ্বকাপ এনে দেন। ২৮ বছর পর ফের একবার চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।
ফাইনালে ধোনি নায়ক হলেও গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে অনবদ্য খেলে যান যুবরাজ। ৮ ইনিংসে ৯০.৫০ গড়ে যুবরাজ মোট ৩৬২ রান করে যান। গোটা টুর্নামেন্টে একটি শতরান সহ চারটে অর্ধশতরানও হাঁকান তিনি। পাশাপশি ১৫টি উইকেটও নিয়েছিলেন তিনি। সেই টুর্নামেন্টে জাহির খানের (২১) পর তিনিই ছিলেন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। বিশ্বকাপ জয়ের টুর্নামেন্ট এ যুবরাজ ম্যান অব দা সিরিজ হয়েছিলেন।