জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে সাড়ে চার বছর যুক্ত ছিলেন রবি শাস্ত্রী। দু বছর শাস্ত্রী জাতীয় দলে টিম ডিরেক্টর এবং পরবর্তীতে কোচ হয়েছেন। ২০০৭-এ বাংলাদেশ সফরের সময়ে অল্প সময়ের জন্য ডিরেক্টর হয়েছিলেন। শাস্ত্রীর জমানা ভারতীয় ক্রিকেটে সর্বকালের অন্যতম সেরা অধ্যায়। গ্যারি কার্স্টেন অথবা জন রাইটের মত আইসিসি ট্রফি জেতেননি। তবে শাস্ত্রীর কোচিংয়ে ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ায় জোড়া সিরিজ জয় করেছেন। ইংল্যান্ডেও সিরিজ স্থগিত হওয়ার আগে ভারত ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল সিরিজে।
২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত শাস্ত্রী চার বছরে টেস্টে ভারতকে অসংখ্য সাফল্য এনে দিয়েছেন। তবে ২০১৪-য় শাস্ত্রী জাতীয় দলের দায়িত্ব পাওয়ার আগে কোনও আঁচই পাননি। এমনটাই জানালেন।
আরও পড়ুন: শাহরুখ ফোন করে KKR-এ খেলার প্রস্তাব দেন পাক তারকাকে, বড় ঘটনা ফাঁস হয়ে গেল হঠাৎ
দ্যা গার্ডিয়ান-কে তিনি জানিয়েছেন, "আমি কোনও ইঙ্গিতই পাইনি। ভারতের ইংল্যান্ড সফরের সময় ওভাল টেস্টে কমেন্ট্রি করছিলাম। ধারাভাষ্য শেষ করে দেখি, ছয়-সাতটা মিসড কল। সাতটা মিসড কল, দেখে বেশ আশ্চর্য হয়ে যাই। বিসিসিআইয়ের তরফে বলা হল, কাল থেকেই তোমাকে দায়িত্ব নিতে হবে। যে কোনও উপায়ে।"
"বিসিসিআইকে জানাই, পরিবার তো বটেই কমার্শিয়াল পার্টনারদের সঙ্গেও কথা বলতে হবে। তবে বোর্ডের তরফে জানানো হল, ওঁরাই বাকি সমস্ত কিছুর বন্দোবস্ত করবে। সেই সময়ে ওয়ানডে সিরিজের কথা যদি খেয়াল করে যায়, দেখা যাবে আমি জিন্স এবং লফার্স পরে ছিলাম। খুব দ্রুত চাকরি ছাড়ার কারণে।"
শাস্ত্রী দু বছর টিম ডিরেক্টর থাকার পরে অনিল কুম্বলেকে হেড কোচ করে আনা হয়। কিংবদন্তি এই তারকাকে অবশ্য ২০১৭-য় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরে দায়িত্ব ছাড়তে হয়। তারপরেই শাস্ত্রী জাতীয় দলের হেড কোচ হন। ২০২১-এ টি২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত যে দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাউন্ডারি লাইনের ধারেই পন্থ-বাটলার ধুন্ধুমার! উত্তপ্ত ভিডিও সামনে আসতেই বিরাট বিতর্ক
জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েই শাস্ত্রীর লক্ষ্য ছিল শক্তিশালী পেস আক্রমণ গড়ে তোলা। যাতে বিদেশে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। শাস্ত্রী জানিয়েছেন, "আমাদের দলে দুজন স্লিঙ্গার ছিলেন যাঁরা ১৬ গজ দূর থেকে ক্রমাগত ডগস্টিক দিয়ে ১৬০ কিমিতে বোলিং করতেন। ব্যাটসম্যানদের এড়ানোর কোনও সুযোগই থাকত না। স্ট্যাম্পের পিছনে দাঁড়িয়ে পুরো বিষয়টি আমিই নিশ্চিত করতাম। যে ব্যাটসম্যানই হোক না কেন, এইভাবে অনুশীলন করতে হত। স্লিঙ্গারদের সামনে ব্যাটসম্যানদের রীতিমত বিধ্বস্ত লাগত। তবে এটা হওয়ারই ছিল। ইংল্যান্ডের পিচে কঠোর পরিশ্রম করেই রান পেতে হত।"
"বোলারদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটত। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় যে স্পিন দিয়ে ম্যাচ জেতা যাবে না, সেটা জলের মতই স্পষ্ট ছিল। ফাস্ট বোলাররাই ম্যাচ জেতাবে। জসপ্রীত বুমরার মত আগ্রাসন দরকার। ও যাতে ভালভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে পারে, সেটাও আমরা নিশ্চিত করি। এক্সপ্রেস পেসের দরকার নেই। আগ্রাসী ভাবমূর্তি প্রয়োজন ছিল।"