রাহুল দ্রাবিড়কে কোচ করে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। জাতীয় দলের কোচ হওয়ার ক্ষেত্রে একসময় নিমরাজি ছিলেন কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান। এনসিএ-র প্রধান হিসাবেই থেকে যেতে চেয়েছিলেন। তবে সৌরভ নিজের বন্ধুকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে জাতীয় দলের হেড কোচ করেন।
চলতি অক্টোবরেই বোর্ডে সৌরভের গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদাগিরি শেষ হয়ে যাচ্ছে। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যেই সৌরভকে সরিয়ে বোর্ড প্রেসিডেন্টের মসনদে বসছেন রজার বিনি। বোর্ডের প্রশাসনিক প্যানেলের পুরোটাই রদবদল ঘটছে। কেবল জয় শাহ নিজের সচিব পদ ধরে রাখতে চলেছেন। বাকি সমস্ত পদেই অদলবদল ঘটছে।
আরও পড়ুন: সৌরভকে সরিয়ে বোর্ডের ক্ষমতায় রজার বিনি! প্রকাশ্যেই আনন্দে আত্মহারা রবি শাস্ত্রী
বোর্ড প্রশাসনের বদলের সঙ্গেই হালকাভাবে হলেও কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের ক্রিকেটীয় ভবিষ্যৎ নিয়েও প্ৰশ্ন উঠেছে। রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত সেভাবে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারছে না। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে টেস্ট সিরিজে হার। এশিয়া কাপের মঞ্চেও বিধ্বস্ত হতে হয়েছে হাইপ্রোফাইল ভারতীয় দলকে। পাকিস্তানের কাছে হার হজম করতে হয়েছে।
রবি শাস্ত্রী-বিরাট কোহলির আমলে যে পেস ব্রিগেডের ওপর ভরসা করে ভারত একের পর এক সিরিজ জিতেছিল, সেই পেস বিভাগই এখন ভারতের অন্যতম দুর্বল জায়গা। টি২০-তে ডেথ ওভারে নিয়মিত রান লিক করার ঘটনা ঘটছে।
সেই বিষয়ই এবার উস্কে দিলেন স্বয়ং রবি শাস্ত্রী নিজেই। মুম্বইয়ের প্রেস ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে শাস্ত্রী পরোক্ষে ঠুকে দিলেন বর্তমান জাতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে। সরাসরি তাঁর দক্ষতার ইঙ্গিত তুলেই বলো দিলেন, “ম্যান ম্যানেজমেন্ট হল আসল। ওঁরা স্কুলের বাচ্চা নয়। ওঁরা ক্রোড়পতি। প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত রয়েছে। কীভাবে এই প্লেয়ারদের সঙ্গে কমিউকেট করা হবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। ওঁদের নিয়ন্ত্রণ করার কোড জানতে হবে। কার সঙ্গে কখন কথা বলতে হবে, ব্যক্তিগত স্তরে নাকি ওয়ান টু ওয়ান সিচুয়েশনে- এই অভিজ্ঞতা বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না। এই স্কিল কোচের থাকতে হবে। আমার এই দক্ষতা ছিল।” এমনটাই উদ্ধৃত করা হয়েছে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: আর বোর্ড সভাপতি নন সৌরভ! BCCI প্রেসিডেন্ট হিসেবে কত বেতন পেতেন দাদা
এর পাশাপাশি দ্রাবিড়ের টিম ইন্ডিয়ার ফিল্ডিংয়ের মানও যে ভয়াবহ স্তরে অবনতি ঘটেছে, তা জানিয়েছেন তিনি। “ফিটনেসে জোর দেওয়া ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমার সময়ে ইয়ো ইয়ো টেস্টের ব্যবস্থা ছিল। অনেক ক্রিকেটারই এতে হাসাহাসি করত। এই ইয়ো ইয়ো টেস্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক না হলেও ক্রিকেটারদেয় মধ্যে ফিটনেসে সচেতনতা আনার কাজ করত। এটা দলে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। ওঁরা স্রেফ কেমন খেলত সেটা নয়, এর সঙ্গেই কীভাবে মাঠে ফিল্ডিং করত, সেটাও দেখার মত ছিল। এখন চিন্তা করার মত বিষয় হল, গত কয়েকমাসে প্রতিপক্ষ বেশ কয়েকবার ২০০-র ওপর স্কোর করেছে। সমর্থকরা বোলারদের যথারীতি দোষ দেবেন। তবে এরজন্য ফিল্ডিংও অনেকটা দায়ী।”