Ravi Shastri Compares Dhoni and Ashwin's Sudden Retirements: সকলকে অবাক করে দিয়ে যখন বুধবার আচমকাই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সেই সময়, ঘটনা এবং প্রেক্ষিতের সঙ্গে ধোনি-অশ্বিনের বড়সড় সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছেন স্বয়ং রবি শাস্ত্রী।
অশ্বিনের মত ২০১৮-য় অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝপথেই অবসর নিয়ে দেশে ফিরে যান ধোনি। তবে এবার বাকি রয়েছে দুই টেস্ট। ধোনি মেলবোর্নে ড্র করে যখন বিদায় নিয়েছিলেন তখন ভারতের বাকি ছিল একটা মাত্র টেস্ট। বর্ডার গাভাসকার ট্রফির সেই সফরে কোহলি সিডনিতে অধিনায়কত্ব করেন। শুরু হয় ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি জমানা। সেই ঘটনার সময় টিম ইন্ডিয়ার কোচ ছিলেন রবি শাস্ত্রী।
তিনি সেন রেডিওয় বলে দিয়েছেন, "ধোনি অপেক্ষা করেনি। আমি তখন কোচ ছিলাম। ও বলল, "রবি, আমি ছেলেদের সঙ্গে পাঁচ মিনিট কথা বলতে চাই।" আমরা এমসিজিতে ম্যাচ ড্র করার পর আমি বললাম, "নিশ্চয়ই।" আমি ভাবলাম হয়ত ও বলবে, "ছেলেরা, দারুণ খেলেছ।" কিন্তু ও বলে দেয়, "ধন্যবাদ। আমি এখানেই শেষ করছি।"
আরও পড়ুন: অশ্বিনের অবসরে চরম বিপদে কোহলি-রোহিতরা! একের পর এক মহারথীর বিদায় নিশ্চিত খুব তাড়াতাড়ি
হঠাৎ করেই সেই অবসরের ঘোষণায় চমকে গিয়েছিলেন শাস্ত্রী নিজেও। "আর একটি টেস্ট ম্যাচ বাকি ছিল। ও উঠে দাঁড়িয়ে, পাঁচ মিনিটের একটি ভাষণ দেয়। কোনও নাটক, কোনো বাহুল্য কিছুই ছিল না। ও শুধু বলে দেয়, "আমি শেষ করছি। তোমাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। সিডনিতে আমি থাকব না, তবে তোমাদের প্রতি আমার সম্পূর্ণ সমর্থন থাকবে।" কারণ এর পরেই ছিল বিশ্বকাপ, আর ধোনিই ছিল সেই বিশ্বকাপগামী জাতীয় দলের অধিনায়ক।"
এরপরে শাস্ত্রীর সংযোজন, "আমি ড্রেসিংরুমের দিকে তাকালাম। সকল ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসা করলাম, ও কি তাদের সঙ্গে আগেই কথা বলে রেখেছিল কিনা! কেউ কিছু জানত না। এমনকি যারা তিন দিন আগে ওঁর সঙ্গে বাইরে ঘুরতে গিয়েছিল, তারাও পুরো বিষয়ে অন্ধকারে ছিল। কেউ কল্পনাও করতে পারেনি যে ধোনি এমন কিছু ঘোষণা করবে।"
"ও সম্ভবত ৯৪ বা ৯৫টি টেস্ট খেলেছিল। সাধারণত, ভারতে এমন একজন ক্রিকেটার, যার এই দুরন্ত ক্যারিয়ার রয়েছে, সে যদি তার ১০০তম টেস্ট খেলতে যায়, আর সেই ম্যাচ যদি নিজের শহর রাঁচিতে হতো, তাহলে পুরো শহর মাঠে এসে উদযাপন করত।" "কিন্তু ধোনি এসব কিছু চায়নি। ও শুধু বলল, "আমি আমার ব্যাগ গুছিয়ে নিতে চাই। আমি সাদা পোশাক থেকে বিদায় নিচ্ছি।"