ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিরাট কোহলিকে। বোর্ডের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক এখনই মিটছে না। সেই বিতর্কে এবার নয়া মন্তব্য করে খবরে এলেন সদ্য অপসারিত কোচ রবি শাস্ত্রী।
সীমিত ওভারের ফরম্যাটে দুটো পৃথক অধিনায়ক বোর্ড চাইছিল না। সেই কারণেই টি২০ নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পরে বোর্ড কিছুটা বাধ্য হয়েই কোহলিকে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে ছেঁটে ফেলেছে। টি২০-র সঙ্গে ওয়ানডে নেতা করা হয়েছে রোহিত শর্মাকে। কোহলি যদিও ওয়ানডের সঙ্গে টেস্টে নেতৃত্ব দিতে ইচ্ছুক ছিলেন। তবে সীমিত ওভারের ফরম্যাটে স্প্লিট ক্যাপ্টেনশিপ চায়নি বোর্ড।
আরও পড়ুন: নিজেকে পরিষ্কার করুন সৌরভ! কোহলির পাশে দাঁড়িয়ে শাস্ত্রীর বিরাট তোপে মহারাজ
আর বিসিসিআইয়ের এই সিদ্ধান্ত কার্যত শাপে বর হয়েছে, মনে করছেন রবি শাস্ত্রী। স্টার স্পোর্টসে শাস্ত্রী জানিয়েছেন, "এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। বিরাট-রোহিত দুজনের জন্যই কার্যত এটা শাপে বর হয়েছে। কোভিডের জন্য বায়ো বাবলে কাটিয়ে একজনের পক্ষে তিন ফরম্যাটে নেতৃত্ব চালিয়ে যাওয়া মোটেই সহজ নয়। বিরাট আপাতত ইচ্ছামত টেস্টে ফোকাস করতে পারে। নিজের রানের খিদে বাড়ানোর জন্য এটা ওর কাছে আরও পর্যাপ্ত সময় এনে দেবে। কারণ ওঁর মধ্যে এখনও পাঁচ-ছয় বছরের ক্রিকেট অবশিষ্ট রয়েছে।"
সৌরভ বোর্ডের এই পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে জানান, কোহলিকে টি২০ অধিনায়কত্ব থেকে সরতে নিষেধ করা হয়েছিল। তা কানে না তুলতেই বোর্ডের কাছে কোহলিকে ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরানো ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।
আরও পড়ুন: দাদার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই! কোহলিকে সপাটে আক্রমণ এবার জিন্দালের
তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার আগে বিষ্ফোরক প্রেস কনফারেন্সে এর আগে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন কোহলি। সরাসরি সৌরভের বক্তব্য খন্ডন করে জানান তিনি বোর্ডের তরফে মোটেই তাঁর কাছে কোনও অনুরোধ আসেনি। বরং তার পদত্যাগপত্র ভাল ভাবেই গ্রহণ করা হয়েছিল।
কোহলির বক্তব্য ছিল, “প্রথমে টি২০-র অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে যখন বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়, সেই সময় নিজের পরিকল্পনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিই। কেন এমন সিদ্ধান্ত, সেটাও জানাই। সাদরে আমার বক্তব্য মেনে নেওয়া হয়েছিল। কোনও সমস্যা হয়নি। কেউ ইতস্তত বোধ করেনি।”
আরও পড়ুন: কোহলি বড্ড লড়াই করে! প্রশংসা করেও প্রকাশ্যে বিরাট কটাক্ষ সৌরভের
যাইহোক, দিন দুয়েক আগে রবি শাস্ত্রী আবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে ই-আড্ডায় এসে বলে যান, আরও ভালভাবে পরিস্থিতি সামলাতে পারত বোর্ড। শাস্ত্রীর মন্তব্য ছিল, “বিরাট এই ইস্যুতে নিজের বক্তব্য জানিয়েছে। এখন বোর্ড সভাপতির উচিত এই ইস্যুতে নিজের বক্তব্য পরিষ্কার করা। আরও ভালভাবে কমিউনিকেশনের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি এড়ানো যেত।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন