রবি শাস্ত্রী ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সম্পর্ক নিয়ে শেষ তিন বছরে প্রচুর জলঘোলা হয়েছে। বর্তমানে ভারতীয় দলের হেডস্য়ার এবং বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের সম্পর্ক ঠিক কেমন, তার একটা প্রতিফলন পাওয়া গেল শাস্ত্রীর টুইটারে।
বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার পর বিরাট কোহলিদের হেডস্য়ার একটি টুইট করেছেন। ঐতিহাসিক গোলাপি বলে ভারতের প্রথম টেস্ট আয়োজন করার জন্য় তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সৌরভের। ইডেন গার্ডেন্সের সামনে সৌরভের সঙ্গে করমর্দন করার সাদা-কালো একটি ছবি টুইট করেছেন শাস্ত্রী। লিখেছেন, "কলকাতায় দুর্দান্ত পিঙ্ক শো। কোনও খামতি রাখেননি প্রেসিডেন্ট সৌরভ। ওয়েল ডান!"
আরও পড়ুন-ইতিহাস লেখার পর কী বলছে কোহলিদের টুইটার?
২০১৬ সালে অনিল কুম্বলকে বিরাট কোহলিদের কোচ হিসাবে নিযুক্ত করে বিসিসিআই। বোর্ডের কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি (সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়, শচীন তেন্ডুলকর ও ভিভিএস লক্ষ্মণকে নিয়ে গঠিত) আলোচনা করার পরেই কুম্বলকে এই গুরুদায়িত্ব দেন। শাস্ত্রী কোচিংয়ের সুযোগ না পাওয়ায় সৌরভকে দুষেছিলেন। সৌরভের দাবি ছিল ভিডিও কল করে নয়, সশরীরেই শাস্ত্রীকে ইন্টারভিউয়ের জন্য় আসতে হতো।
কুম্বলে দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মধ্য়েই কোহলির সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য়ের কথা প্রকাশ্যে চলে আসে। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আইসিসি চ্য়াম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল হারার পরেই কুম্বলে পদত্য়াগ করেন। এরপরেই সৌরভের ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি শাস্ত্রীকে দায়িত্ব দেন বিরাটের।
আরও পড়ুন, হর্ষ ভোগলেকে খোঁচা দিয়ে বিপাকে মঞ্জরেকর
সৌরভ বিসিসিআই সভাপতি হওয়ার পরেই শাস্ত্রী বলেছিলেন, "আমার আর সৌরভের মধ্য়ে যা বৈপরীত্য় তৈরি হয়েছিল, সেটার এখন আর কোনও অস্তিত্ব নেই। অনভিপ্রেত সেই ঘটনা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। আমরা দুজনেই প্রাক্তন অধিনায়ক। ফলে তর্ক-বিতর্ক হতেই পারে। সবাই এক রকম ভাববে তার কোনও মানে নেই। কিন্তু আমাদের মধ্য়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধা রয়েছে।"