১৯৮৫ সালের বেনসন এন্ড হেজেস ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই দলেরই সদস্য ছিলেন রবি শাস্ত্রী। সেই দল বর্তমান টিম ইন্ডিয়াকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেবে, এমনটাই বিশ্বাস করেন স্বয়ং রবি শাস্ত্রী।
জাতীয় দলের বর্তমান কোচ রাজদীপ সারদেশাইয়ের সঙ্গে ফেসবুক লাইভ সেশন করছিলেন। সেখানেই শাস্ত্রী জানান, "কোনো সন্দেহ নেই সেই দল বর্তমান টিমকে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে। শুধু এই দলই নয় ভারতের যেকোনো সময়ের সাদা বলে ক্রিকেট টিমকে কঠিন লড়াই দেবে।"
ইন্ডিয়ার প্ৰথম বিশ্বকাপজয়ী দলকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে শাস্ত্রী আরও জানিয়েছেন, "অনেকেই ভাবে ১৯৮৩-এ বিশ্বকাপজয় ফ্লুক। তবে ১৯৮৫ তে ছেলেরা তাঁদের ভুল প্রমাণ করে। সানি সামনে থেকে দলকে দারুনভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিল।"
সেই টুর্ণামেন্টের সবথেকে তৃপ্তিদায়ক মুহূর্ত কোনটা! শাস্ত্রী জানান, ফাইনালে পাকিস্তানকে হারানো সবথেকে দারুন মুহূর্ত ছিল। সেই টুর্নামেন্ট স্মরণীয় হয়ে রয়েছে শাস্ত্রী আর জাভেদ মিয়াঁদাদের ম্যাচ চলাকালীন বাদানুবাদের জন্য। সেই টুর্ণামেন্টে সিরিজের সেরা হয়ে একটি অডি গাড়ি উপহার পেয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী। সেই ঘটনা স্মরণ করে তিনি জানান, "জাভেদের অডি পাওয়ার কোনো রাস্তাই ছিল না। তাই মাঠে বিপক্ষ ক্রিকেটারদের টার্গেট করছিল।"
৫৭ বছরের শাস্ত্রী জানাচ্ছেন, সেই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের পর সবথেকে কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড। "সেই সময় নিউজিল্যান্ড দারুণ দল ছিল। ওদের স্কোয়াডে হয়ত কোনো সুপারস্টার ছিল না তবে নিজেদের থেকে কঠিন প্রতিপক্ষকে হারাতে সিদ্ধহস্ত ছিল ওরা। সেমিফাইনালে ওদের হারাতে নিজেদের সেরা খেলাটাই খেলতে হয়েছিল আমাদের।" বলছেন শাস্ত্রী।
কোচ হওয়ার আগে চুটিয়ে কমেন্ট্রি করেছেন। তবে লকডাউনের কারণে আপতত আলিবাগে বন্দি তিনি। সেখানেই তিনি লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণন ও রজার বিনিকে কোয়ারেন্টাইন রুমমেট হিসাবে চাইছেন। কারণ, "আমরা একসঙ্গে বিয়ার পান করতে পারি। আশা করি শিবা আর রজারও চাইবে যোগ দিতে।"