Ravichandran Ashwin on his retirement: আর অশ্বিনের অবসর বর্ডার-গাভাসকার ট্রফির তৃতীয় টেস্টের বড় চমক হয়ে ধরা দিয়েছিল। অ্যাডিলেড টেস্টে স্পিনারদের অনুকূল নয় এমন পিচে ভালো বল করার পরও গাব্বা টেস্টে তাকে বাদ দেওয়া হয়। সেই টেস্টের শেষেই তিনি অবসরের ঘোষণা করেন।
৫৩৭ উইকেটের মালিক অশ্বিনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি অবসরের জন্য একটি বিদায়ী টেস্ট খেলতে চাইলেন না কেন। তাঁর জবাব, “জায়গা কোথায়? আমি আরও ক্রিকেট খেলতে চাই। কিন্তু জায়গা কোথায়? স্পষ্টতই ভারতীয় ড্রেসিংরুমে নয়, তবে অন্য কোথাও থেকে। আমি ক্রিকেটের প্রতি সৎ থাকতে চেয়েছি। ভাবুন, আমি যদি শুধুমাত্র বিদায়ী টেস্ট খেলতে চাইতাম।"
"অথচ দলের প্ৰথম একাদশে আমাকে নেওয়ার প্ল্যানিং না থাকে টিমের। জাস্ট ভাবা হোক, স্রেফ বিদায়ী টেস্টের জন্য আমাকে প্ৰথম একাদশে রাখা হয়েছে। এটা আমি কখনই চাইনি। আমার বিশ্বাস ক্রিকেটে আরও সামর্থ্য ছিল আমার। আমি আরও খেলতে পারতাম। তবে মানুষ যখন ‘কেন’ জিজ্ঞাসা করে তখনই শেষ করা ভালো! ‘কেন নয়’ প্রশ্নের সময়ে নয়,”
অশ্বিন এই কথা স্বীকার করেছেন “অ্যাশ কি বাত”-এ। “আমি মাঠে বল নিয়ে এলে এবং মানুষ হাততালি দেবে- তাতে কী এমন পার্থক্য হবে? মানুষ কতদিন এটা নিয়ে কথা বলবে? যখন সামাজিক মাধ্যম ছিল না, মানুষ এটি নিয়ে কথা বলত এবং এক সপ্তাহ পর ভুলে যেত। বিদায়ের কোনও প্রয়োজন নেই। খেলা আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে এবং আমরা অনেক আনন্দ নিয়ে খেলেছি।”
অশ্বিন আরও যোগ করে বলেছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে যে অশ্বিনের পরিবারের আশা ছিল তারকা ক্রিকেটার হয়ত বিদায়ী টেস্টের মর্যাদা পাবে। তবে তাঁদেরকেও বিস্মিত হতে হয় যে সিরিজের মাঝামাঝি সময়ে আচমকা অবসরে গেলেন অশ্বিন।
অশ্বিন বিদায়ী বার্তায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন রামকৃষ্ণপুরম ফার্স্ট স্ট্রিটের তার বন্ধুদের। যাঁরা অনবরত বল করে অশ্বিনকে সাহায্য করেছিলেন, উপহার দিয়েছিলেন অমূল্য স্মৃতির। তাঁরাও নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লম্বা বার্তায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। যখন অশ্বিন ব্রিসবেন টেস্টের পর সাংবাদিক সম্মেলনে অবসরের কথা ঘোষণা করলেন।
দলের মধ্যে, অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর ছাড়া বাকিদের কাছে অবসরের সিদ্ধান্ত ছিল চরম অপ্রত্যাশিত। অবসরের প্রাক মুহূর্তে সম্প্রচারকার চ্যানেলে বারবার দেখানো বিরাট কোহলির আলিঙ্গন সম্পূর্ণরূপে স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। কারণ তিনিও, বাকিদের মতো, ব্রিসবেন টেস্টের শেষেই বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন।