নামেই ছিল মাদ্রিদ ডার্বি। কোপা ডেল রে-র উত্তেজক কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ তবে তলে তলে ছিল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ছায়াযুদ্ধ। রিয়েল মাদ্রিদে যেমন ব্রাজিলিয়ানদের দাপট। তেমন সদ্য বিশ্বকাপ জয় করে আসা আর্জেন্টিনার ডি পল, নাহুয়েল মলিনা, এঞ্জেল কোরিয়ারা নেমে পড়েছিলেন মাদ্রিদ ডার্বিতে।
আর সেই ডার্বিতেই রুদ্ধশ্বাসভাবে শেষ হাসি হাসল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ানরা। রদ্রিগো, ভিনিসিয়াসদের মত সেলেকাও সুপারস্টাররা যেমন গোল পেলেন তেমন রিয়েলের হয়ে গোল করে গেলেন ক্যাপ্টেন করিম বেঞ্জিমাও। লস ব্ল্যাঙ্কসদের হয়ে রক্ষণ দারুণভাবে সামলালেন নেইমারের জাতীয় দলের সতীর্থ এডের মিলিটাও। মাদ্রিদ ডার্বিতে ১-৩ গোলে বিধ্বস্ত হল আতলেতিকো মাদ্রিদ।
প্ৰথমে অবশ্য লিগ নিয়েছিল আতলেতিকোই। বার্নাব্যুতে কাউন্টার এটাক থেকে দিয়েগো সিমিওনের দলকে প্ৰথম গোল এনে দেন আলভারো মোরাতা। বিরতি পর্যন্ত ১-০ গোলেই লিড নিয়েছিল আতলেতিকো। আগ্রাসীভাবে ম্যাচ শুরু করেছিল আতলেতিকো।
দ্বিতীয়ার্ধে কার্লো আনসেলত্তি দানি কাবালসকে নামিয়ে দেন। এতেই ম্যাচ ঘোরে। একের পর এক সুযোগ তৈরি করতে থাকে রিয়েল। বেঞ্জিমা, ভিনিসিয়াসও ব্যস্ত রাখছিলেন আতলেতিকো ডিফেন্সকে। গ্রিজম্যান-ও অন্যদিকে, আতঙ্কের সঞ্চার করছিলেন মিলিটাও, নাচোদের রক্ষণে। দ্বিতীয়ার্ধে অবিশ্বাস্য বাই সাইকেল কিকে একসময় এক্সেল উইটসেল আতলেতিকোকে কার্যত ২-০ এগিয়ে দিয়েছিলেন প্রায়। পোস্টের ধার ঘেঁষে বল বেরিয়ে যায়।
শেষমেশ রিয়েলের ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান পরিবর্ত হিসাবে নামা ব্রাজিলীয় রড্রিগো। মাঝমাঠ থেকে বল রিসিভ করে আতলেতিকো রক্ষণকে কাঁপিয়ে কিপার জান ওবলাককে পরাস্ত করে যান ব্রাজিলীয় উঠতি তারকা। শেষদিকে, গ্রিজম্যান, মেমফিস ডিপে গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি।
নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এমন সময়েই আতলেতিকো ডিফেন্ডার স্টেফান সেভিচ কামবিঙ্গাকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। শেষদিকে, ক্যাপ্টেন বেঞ্জিমা ২-১ করার পরে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের ঝলক দেখিয়ে ৩-১ করে যান ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
মাদ্রিদ ডার্বিতে নামার আগেই আতলেতিকোর আল্ট্রা ফ্যান গ্রুপ ভিনিসিয়াসের মূর্তি ওভারব্রিজ থেকে ঝুলিয়ে দিয়ে কুৎসিত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। তারই যোগ্য জবাব দিয়ে মাদ্রিদ ডার্বির ফিনিশিং টাচ দিলেন ব্রাজিলীয় তারকা।