সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে রবিবার তেকাঠির নীচে স্টিফেন কনস্টানটাইন হয়ত তাঁর উপরেই ভরসা করতেন। ডার্বিতে অনভিজ্ঞ পবন কুমার বা কমলজিতকে নামানোর সাহস দেখাতেন না। তবে ইস্টবেঙ্গল থেকে ব্রাত্য হয়ে শুভাশিস রায়চৌধুরি শহরই ছেড়ে দিলেন। পাড়ি দিলেন কাশ্মীরে। রিয়েল কাশ্মীরের হয়ে তিনি এবার আইলিগে দুর্গ সামলাবেন।
অথচ এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড থেকে তাঁর এবার ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেওয়া প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। চলতি মাসের শুরুর দিকে শুভাশিস লাল-হলুদ জার্সিতে অনুশীলনেও নেমে পড়েন। তবে একসঙ্গে ১৩ জন ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি ঘোষণার তালিকায় তিনি ছিলেন না।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে ভাবার কোনও প্রয়োজনই নেই! ডার্বির আগে বিধ্বংসী বাগান ক্যাপ্টেন কাউকো
মেডিক্যাল টেস্টে আটকে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। বিনিয়োগকারী সংস্থার তরফে শুভাশিসকে রাখার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়নি। ডার্বির দিন রবিবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে শুভাশিস বললেন, "জন্মগত একটা সমস্যা ছিল। সেটা নিয়েই সারা জীবন খেলে গিয়েছি। এখন ইমামি মেডিক্যাল কারণ দেখিয়ে কনস্টানটাইনকে না নেওয়ার কথা জানিয়েছে।"
রবিবারে শহরে ফুটবলের মহা-উৎসব। অথচ তিনিই নেই। নিস্পৃহ গলায় শুভাশিস খালি বলছেন, "যদি সময় পাই নিশ্চয় ডার্বি দেখব।" অনেক স্বপ্ন নিয়ে কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। তবে লাল-হলুদের জার্সিতে আইএসএল খেলার স্বপ্ন পূর্ণ হল না। আক্ষেপে বাঙালি তারকা গোলকিপার বলে দিচ্ছেন, "ওঁরা (ইমামি ইস্টবেঙ্গল) যেটা ভাল বুঝেছে সেটা করেছে। কনস্টানটাইনের কোচিংয়ে অতীতেও জাতীয় দলে খেলেছি। এবারেও উনি আমাকে চেয়েছিলেন। ভরসা জুগিয়ে উনি অবশ্য বলেছেন, 'আমার টিমে সিনিয়র হিসাবে তুই সবসময় ওয়েলকাম। তোকে আমার চাই। কিন্তু ইমামি তো রাজি হল না!"
আরও পড়ুন: ডার্বির আগেই খোলা চিঠি ইস্টবেঙ্গলে! ইমামির ঘোষণায় চমকে গেল কলকাতা ময়দান
রিয়েল কাশ্মীর ডেভিড রবার্টসনের কোচিংয়ে একসময় সাড়া ফেলেছিল। আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তিও গড়েছিল। এবার রিয়েল কাশ্মীরের দায়িত্ব সামলাবেন কলকাতা ময়দানে খেলে যাওয়া মেহরাজউদ্দিন। শুভাশিসের পুরোনো বন্ধুই এবার কাশ্মীরের কোচের হটসিটে। দুই বন্ধু মিলে ভূস্বর্গে ফুল ফোটাতে পারবেন, সেটাই দেখার।