কুলিং অফ নিয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন সৌরভ-জয় শাহ-রা। লোধা কমিটির সুপারিশ মেনে কুলিং অফ নিয়মে বদল না আনলে বোর্ডের মসনদ ছাড়তে হত প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিব জয় শাহ-কে।
লোধা কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছিল, রাজ্য এবং বিসিসিআই-য়ে নির্দিষ্ট মেয়াদ (৩+৩=৬ বছর) শেষের পরে কুলিং অফে যেতে হবে সংশ্লিস্ট প্রশাসককে।
এই কুলিং অফ নিয়ম মানলে সৌরভ এবং জয় শাহ দুজনকেই বিসিসিআইয়ের শীর্ষ দুই পদ থেকে সরতে হত। সুপ্রিমকোর্ট মঙ্গলবারের শুনানিতে এক ব্যক্তির দীর্ঘদিন একই পদে থাকা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। লোধা কমিটির সুপারিশ মেনে ৭০ ব্যক্তিদেরও ক্রিকেট প্রশাসনে থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা। যে বিষয় আপত্তি জানিয়েছিল বোর্ড। বলা হয়েছিল, অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের প্রশাসনে থাকলে লাভবান হতে পারে সংস্থা। সেই সময় সুপ্রিমকোর্টে পাল্টা ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের দৃষ্টান্তও টানা হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় দলে অভিষেক ঘটেনি ধোনির জন্য! অভিমানে অবসরই নিয়ে ফেললেন CSK পেসার
এমন আশঙ্কার আবহেই বুধবার সুপ্রিমকোর্টে ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং জয় শাহের। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের তরফে মেনে নেওয়া হয়, সংস্থার পদাধিকারীরা রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায় ছয় বছর কাটানোর পর বোর্ডেও টানা ছয় বছর দায়িত্ব নিতে পারবে। অন্তর্বর্তী সময়ে কুলিং অফে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
তবে বোর্ড প্রশাসনে ছয় বছর কাটানোর পর বাধ্যতামূলক কুলিং অফে যেতেই হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। অর্থাৎ লোধা কমিটির সুপারিশই বহাল রেখে পদে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধির পথে হাঁটল শীর্ষ আদালত। যাতে স্বস্তি মিলল সৌরভ-জয় শাহদের।
আরও পড়ুন: সৌরভের দিকে বিরাট অভিযোগের আঙুল! কলকাঠি নেড়ে তিনিই নাকি খেলতে দিচ্ছেন না তারকাকে
সৌরভ-শাহদের স্বস্তি দিয়ে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বুধবার দুপুরে জানিয়ে দেন, "মাত্র তিন বছর সংস্থায় কাটানোর ওর কুলিং অফে যাওয়া একটু বেশিই কড়া হয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক শীর্ষ ক্রিকেট পদাধিকারী, নিজস্ব নেটওয়ার্কিং তৈরি করার জন্য আরও একটা টার্মে অনুমোদন দেওয়া যেতেই পারে।"