/indian-express-bangla/media/media_files/2025/11/03/richa-ghosh-2025-11-03-14-43-09.jpg)
বাবার সঙ্গে রিচা ঘোষ
Richa Ghosh: ক্রিকেট বিশ্বকাপ (Women’s ODI World Cup 2025) জয় করেছে ঘরের মেয়ে। লিখেছে এক নয়া ইতিহাস। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলে (Indian Women Cricket Team) উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসেবে রিচা ঘোষ ইতিমধ্যে এক আলাদা পরিচিতি লাভ করেছেন। মেয়ের এই সাফল্যে যারপরনাই গর্বিত রিচার বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ। রিচার জন্য আজ গর্বিত গোটা দেশ।
Richa Ghosh Latest News: জিতেছেন বিশ্বকাপ, দেশকে করেছেন গর্বিত! কী বললেন বাংলার মেয়ে রিচা?
ম্য়াচের পর মুম্বই থেকে রিচার বাবা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বললেন, 'একেবারে চোখের সামনে বসে ওর খেলা দেখলাম। ভারতীয় ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ খেতাব জয় করছে। এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কীই বা হতে পারে! মুখের কথায় এটা বোঝানো সম্ভব নয়।'
'এই জয় ঐতিহাসিক...'
এরপর তিনি বললেন, 'গোটা রাত আমি ঘুমোতে পারিনি। ফোনের পর ফোন এসেছে। ভর্তি হয়ে গিয়েছে মেসেজ বক্সও। সকলেই একবাক্যে স্বীকার করছেন, এই জয়টা এককথায় ঐতিহাসিক। আগামী প্রজন্মকে এই জয় অনুপ্রাণিত করবে। বিশ্বাস ছিল, আমার মেয়ে এবং ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই মেয়েরা বিশ্বকাপ জিততে পারবে। কখনও ভাগ্য সঙ্গ দেয়, কখনও আবার দেয় ন। কিন্তু, কঠোর পরিশ্রমের কোনও বিকল্প হয় না। এই দামটা সবসময়ই পাওয়া যায়।'
Richa Ghosh Record: ইতিহাস গড়লেন বাংলার রিচা, মুখ উজ্জ্বল করলেন গোটা দেশের
তাঁর কথায়, খেলার মাঠে কখনই কোনও লিঙ্গ বৈষম্য করা উচিত নয়। মেয়েদেরও সমানভাবে খেলাধুলোয় উৎসাহিত করা উচিত। বললেন, 'আমরা যতটা না রিচাকে খেলাধুলোর জন্য উৎসাহিত করেছি, ও নিজের চেষ্টায় অনেক বেশি সাফল্য অর্জন করেছে।'
'ওদের ডানা দিন, উড়তে দিন'
তিনি কার্যত জোর গলায় বললেন, খেলার মাঠে কখনই কোনও লিঙ্গ বৈষম্যের জায়গা নেই। মানবেন্দ্র ঘোষের কথায়, 'আমি প্রত্যেক বাবা-মাকে শুধুমাত্র একটাই কথা বলতে চাই। মেয়েদের ক্ষমতা নিয়ে কখনই কোনও প্রশ্ন ওঠা উচিত নয়। ওদের ডানা দিন, উড়তে দিন। ওরা যা করতে পারে, সেটা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। ওর সঙ্গে আমিও কেঁদেছি। ওর সঙ্গে আমিও জয় উদযাপন করেছি। একটা মেয়ের বাবা হিসেবে গর্ব অনুভব করেছি।'
মাত্র ৫ বছর বয়স থেকে রিচার ক্রিকেট যাত্রা শুরু হয়েছিল। বাবার হাত ধরেই যেতেন ক্রিকেট মাঠে। সেই স্মৃতি আজও উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে মানবেন্দ্রর হৃদয়ে। তিনি বললেন, 'আমি যখন খেলতাম, তখন মাঝেমধ্যেই ও আমার কাছে আসত। তখন থেকেই ধীরে ধীরে খেলাটাকে ভালবাসতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে ক্রিকেট খেলাকে সিরিয়াসলি গ্রহণ করতে শুরু করেছে।' ক্রিকেট খেলার প্রতি মেয়ের ভালবাসা দেখে রিচার বাবা কলকাতায় চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল রিচার সামনে এক নতুন পৃথিবীর দরজা খুলে দেয়। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি বাংলা সিনিয়র দলের হয়ে খেলতে নামেন। এরপর আর তাঁকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us