/indian-express-bangla/media/media_files/2025/11/01/richa-ghosh-2025-11-01-17-15-31.jpg)
Richa Ghosh: রিচা ঘোষ।
Richa Ghosh World Cup Journey: ভারতের মহিলা ক্রিকেটে রিচা ঘোষ এখন এক পরিচিত নাম। শিলিগুড়ির এই তরুণীর গল্পটা যেন সিনেমার মতো। ছোট্ট শহরের মাঠ থেকে শুরু করে বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্ত, রিচার প্রতিটি পদক্ষেপে লুকিয়ে আছে ত্যাগ, স্বপ্ন আর এক বাবার অগাধ ভালোবাসার গল্প।
রিচার জীবনের অধ্যায় সামনে আনলেন তাঁর বাবা
রিচার বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ আজও মেয়ের সেই প্রথম দিনের কথা গড়গড়িয়ে বলে দিতে পারেন। বয়স তখন পাঁচ, হাতে একটা বিশাল ব্যাট আর বল। বাবার সঙ্গে মাঠে গিয়ে খেলতে খেলতেই ক্রিকেটের প্রেমে পড়ে ছোট্ট ঋচা। মানবেন্দ্র ঘোষের কথায়, 'আমি ভাবতাম, ও একটু ফিটনেসের জন্য খেলবে। কিন্তু ওর চোখে যে আগুন, সেটা আমি তখনই দেখেছিলাম।'
আরও পড়ুন- 'যিশুই বদলে দিয়েছেন জীবন', জীবনের ম্যাচে ইতিহাস গড়ে ধন্যবাদ দিলেন জেমিমা
যখন অন্যরা পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন রিচা নেমেছিলেন ২০ ওভারের লড়াইয়ে। একবার তো বোর্ডের পরীক্ষা পর্যন্ত মিস করেছিলেন ভারতের হয়ে খেলার জন্য। মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, 'বিশ্বকাপের বছরে ওকে আমি নিজেই বলেছিলাম, পড়া পরে হবে, কিন্তু এই সুযোগ বারবার আসবে না।' তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল— এই মেয়ের জীবন ক্রিকেটের জন্যই উৎসর্গ করা আছে।
আরও পড়ুন-টেনিস ছাড়লেন ভারতের 'গ্র্যান্ড স্ল্যাম কিং' রোহন বোপন্না, ২০ বছরের দুর্দান্ত কেরিয়ারের অবসান
শিলিগুড়িতে মেয়েদের ক্রিকেটের সুযোগ ছিল খুব কম। তাই পরিবার পাড়ি দেয় কলকাতায়। সেখানে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি) (Cricket Association of Bengal, CAB)-এর ক্যাম্পে যোগ দিয়ে রিচা পায় নতুন দিশা। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাংলার সিনিয়র দলে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। নির্বাচকরা তখনই বুঝেছিলেন— এই মেয়েটি একদিন জাতীয় দলের জার্সি পরবে।
আরও পড়ুন- ফাইনালে বদলে যাবে সবকিছু? বাদের খাতায় ভারতের তারকা ক্রিকেটার!
২০২৫ সালে মহিলা বিশ্বকাপের সময় (Women’s World Cup) রিচা ছিলেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের ম্যাচে তাঁর ব্যাটিং ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। শান্ত মেজাজ, ঠান্ডা মাথা, আর নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকিং— এগুলোই তাঁর জীবনে পার্থক্য গড়ে দেয়। মানবেন্দ্রবাবুর গলায় গর্বের সুর, 'আমি ভেবেছিলাম, ওর জন্য আমি অনেক ত্যাগ করেছি। কিন্তু এখন দেখি, আসলে ও-ই আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে। আমার হারানো কেরিয়ারের চেয়ে এই সাফল্য অনেক বেশি।'
আরও পড়ুন- বাবাকে অপমানের যোগ্য জবাব, মেয়ে হয়ে প্রতিশোধ নিলেন জেমিমা!
রিচার বাবার কথায়, 'ও আজও আগের মতোই হাসিখুশি, শান্ত আর একদম সাধারণ। আজও ওর সবচেয়ে প্রিয় মায়ের বানানো ফ্রাইড রাইস।' একটা মেয়ের এমন সহজ সরল জীবনের ভেতরেই লুকিয়ে আছে অগাধ শক্তি — যা তাঁকে আজ দেশের গর্ব করে তুলেছে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us