Advertisment

সৌরভকে বিখ্যাত হওয়ার রাস্তা দেখান শচীন-ই! বন্ধুর জন্মদিনে বিরাট আপডেট মহারাজের

শচীনের অজানা কাহিনী শেয়ার করলেন মহারাজ, দেখুন ভিডিও

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
NULL

৫০ বছরে পা দিলেন শচীন রমেশ তেন্ডুলকর। জীবনের ক্রিজে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরেই শচীনের সঙ্গে খুল্লামখুল্লা নিজেদের অভিজ্ঞতা, সম্পর্ক শেয়ার করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রিকি পন্টিং।

Advertisment

দিল্লি ক্যাপিটালসের সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলার সময় গাঙ্গুলি এবং পন্টিং দুজনেই তাঁদের সঙ্গে মাস্টার ব্লাস্টারের স্মৃতি ভাগ করে নিলেন। শুভেচ্ছাও জানালেন ইন্দো-অজি কিংবদন্তি।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

শচীনের সাথে প্রথম দেখা: বহু বছর আগে ইন্দোরে অনূর্ধ্ব-১৫ ক্যাম্পে ওঁকে প্রথম দেখেছিলাম। ও তখন খুব ভারী ব্যাট ব্যবহার করত। সেবার আমরা ক্যাম্পে এক মাস অনুশীলন করেছিলাম।

না-জানা শচীনের কাহিনী: প্রচুর রয়েছে। ও যেবার আমাকে জয়পুরে ওপেন করতে বলল, সেবার ভারত কোনও ওপেনার খুঁজে পাচ্ছিল না। ও আমাকে বলে, তুমি কেন ওপেন করছ না! আমি ভালোবেসে রাজি হয়েছিলাম। বাকিটা তো আমার জীবনের অন্য গল্প হয়ে গিয়েছে।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা:

পঞ্চাশের ক্লাবে স্বাগতম। আমি গত বছর যে ক্লাবে ঢুকেছিলাম শচীন এখন সেই ক্লাবের সদস্য। আমার এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক ভালবাসা রইল ওঁর জন্য। ওঁকে, ওঁদের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ আমার।

রিকি পন্টিং

প্রথমবার শচীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ:

আমি ওঁর সম্পর্কে শুনেছি ৮৮/৮৯ সালে। শচীন আসলে কখন ডেবিউ করেছিল, সেই বিষয়ে নিশ্চিত নই। সেই সময় অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল ভারত। আর আমি তখন প্রধান কোচ রড মার্শকে বলেছিলাম, ভারত যখন ট্রেনিং করবে, তখন আমি মাঠে থাকতে চাই। আমি নেটের পিছনে বসে শচীনের ব্যাট দেখতে চেয়েছিলাম।

শচীনের সম্পর্কে না জানা কাহিনী:

দেখুন তার বিপক্ষে খেলার প্রচুর স্মৃতি রয়েছে আমার কাছে। যে জিনিস যা শচীনকে বাকিদের থেকে আলাদা করেছে, তা হল ওঁর মানসিক শক্তি। সিডনি টেস্টের কথা মনে করা যাক। সেই সিরিজে ও বেশ কয়েকবার কট বিহাইন্ড হয়েছিল। তারপর ফুল লেন্থে ওয়াইড বল করার পর স্লিপ-উইকেটকিপারের মধ্য দিয়ে খোঁচাও দিয়েছিল। ওঁর বিরুদ্ধে আমাদের রণকৌশল ছিল একই স্ট্রাটেজিতে বল করে যাওয়া। যাতে কোনও না কোনও সময় কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে কভারে ক্যাচ তোলে। তবে ও সিডনি টেস্টের আগেই বলে দেয় গোটা ম্যাচে একবারও কভার ড্রাইভ খেলবে না। ২২০-র ঘরে সম্ভবত ও কভার ড্রাইভ করেছিল। সেই টেস্টে ও বোধহয় ২৪০ মত করেছিল। টানা ৮-৯ ঘন্টা কভার ড্রাইভ না করা সত্যিই স্পেশ্যাল ছিল।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা:

৪০ বছর পেরিয়ে গেলে মনে হয় না জন্মদিন নিয়ে কেউ খুব বেশি মাথা ঘামায়। তবে এটাও দুরন্ত একটা মাইলস্টোন বন্ধু। মুম্বই ও বটেই ভারতীয়রাও এই বিশেষ মাইলস্টোন উদযাপন করবে।

Read the full article in ENGLISH

Sachin Tendulkar Sourav Ganguly
Advertisment