Rinku Singh, India T20 World Squad: দুর্ধর্ষ একটা আইপিএল সিজনের দৌলতে সরাসরি বিশ্বকাপগামী প্লেনে চেপে বসলেন সঞ্জু স্যামসন। অন্যদিকে, সেভাবে ফর্মে না থাকা শুভমান গিলকে বাদ পড়তে হল বিশ্বাকাপের স্কোয়াড থেকে। আইপিএলে একদম সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সঞ্জু স্যামসন। সেই সঙ্গে তিন নম্বরে ব্যাট করছেন। উইকেটকিপিং করছেন।
Rinku Singh Miss Out T20 WC 2024: ছয় মাস আগেও বিশ্বকাপে রোহিত শর্মার ওপেনিং পার্টনার ছিলেন শুভমান গিল। তবে আইপিএলে সেভাবে ফর্মে নেই গুজরাট টাইটান্স-এর দায়িত্ব নেওয়ার পর। এই কারণে বোর্ডের মূল স্কোয়াড তো বটেই এমনকি রিজার্ভ স্কোয়াডেও জায়গা মেলেনি তারকার।
গত মার্চেই জয় শাহ জানিয়ে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা বিশ্বকাপে নেতা হচ্ছেন। বিরাট কোহলির অন্তর্ভুক্তি অনেকটাই প্রত্যাশিত ছিল। হার্দিক পান্ডিয়া সেভাবে ব্যাটে-বলে ফর্মে না থাকলেও বিকল্পের অভাবে জায়গা পেয়ে গিয়েছেন। এমনকি টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপের সহ অধিনায়কও তিনি।
শিবম দুবে ব্যাট হাতে সিএসকের জার্সিতে বিধ্বংসী মেজাজে রয়েছেন। তবে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মের জন্য সেভাবে বোলিং করেননি। দুবের লম্বা লম্বা ছয় হাঁকানোর দক্ষতা নির্বাচকরা উপেক্ষা করতে পারেননি। তিনি জায়গা পেয়েছেন রিঙ্কু সিংয়ের বদলে। বদলে নাইট তারকার ঠাঁই হয়েছে রিজার্ভ স্কোয়াডে।
শেষ দু-তিন ওভারে বড় রান চেজ করার ক্ষেত্রে রিঙ্কু সম্ভবত এখনও টিম ইন্ডিয়ার সেরা বাজি। পেস এবং স্পিন দুই বোলিংয়েই স্বচ্ছন্দ তারকা। তবে টিম কম্বিনেশনের ফাঁদে বলির পাঁঠা করা হল রিঙ্কুকে।
যশস্বী জয়সওয়াল তো বটেই টি২০ ক্রিকেটের একনম্বর ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবও জায়গা পেয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার স্কোয়াডে। এমনকি টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে ১৫মাস পরে প্রত্যাবর্তন করাও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে ঋষভ পন্থের।
মহম্মদ শামি ছিটকে যাওয়ার পর পেস বোলিং বিভাগে সেভাবে বাছাইয়ের কিছু ছিল না। বুমরার সঙ্গে সিরাজ-অর্শদীপকেই রাখা হয়েছে অভিজ্ঞতার নিরিখে। সিরাজ আইপিএলে রান হজম করেছেন ব্যাপক। তবে তাঁকে বাদ দেওয়ার কোনও উপায় নেই অভিজ্ঞতার জন্য। স্রেফ তিন স্পেশালিস্ট পেসারকেই রাখা হয়েছে স্কোয়াডে। নির্বাচকদের আশা হার্দিক পান্ডিয়া তো রয়েইছেন। প্রয়োজনের সময় শিবম দুবেকেও ব্যবহার করা যাবে। রিজার্ভ দলে জায়গা হয়েছে খলিল আহমেদ, আবেশ খানদের।
তবে ভারতের আক্রমণ ভারি করা হয়েছে স্পিন বিভাগে। রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল এবং জুজবেন্দ্র চাহালকে যায়গা দেওয়া হয়েছে। আইপিএলে সেভাবে নজর কাড়তে পারছেন না রবি বিশ্নোই। সেই কারণেই বাদ পড়েছেন তিনি।
রোহিতকে নিয়েও দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন নির্বাচকরা। গত চার আইপিএল সিজনে রোহিত একবার-ও মরশুমে ৪০০ প্লাস রান খাড়া করতে পারেননি। এই সিজনে রোহিত ৯ ম্যাচে ৩১১ করেছেন। তবে এর মধ্যে ১০৫ রানের অপরাজিত স্কোর-ও রয়েছে। তবে রোহিত নিজেকে উন্নত করেছেন স্ট্রাইক রেটের বিচারে। ১২০ থেকে ১৩২ স্ট্রাইক রেট নিয়ে ব্যাট করা রোহিত চলতি সিজনে খেলছেন ১৬০.৩১ স্ট্রাইক রেট নিয়ে।
কোহলির ফর্ম নিয়ে কোনও সংশয়ই নেই। এবারেও ৫০০ প্লাস স্কোর করে কোহলির মুকুটে রয়েছে কমলা টুপি। তবে স্ট্রাইক রেট নিয়ে নিরন্তর আলোচনা ছিল। কোহলি যত আইপিএল মরশুমে খেলেছেন তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪৭.৪৯।
কোহলি-রোহিতকে নিয়ে কিছুটা বিশ্বাসের ওপরেই ভরসা রাখলেন নির্বাচকরা।