ঋষভ পন্থে তিনি মজে রয়েছেন। বাঁ হাতি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে দেশের 'ম্যাচ উইনার'ও বলে দিচ্ছেন। আসলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ঋষভ পন্থে একজন জিনিয়াস হয়ে উঠেছেন, এই বয়সেই।
একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের প্রশ্নোত্তর পর্বে সৌরভ বলে দেন, "জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন চিত্তাকর্ষক ক্রিকেটার রয়েছে। বোর্ডের সভাপতি হিসাবে আমার উচিত নয় নিজের পছন্দের ক্রিকেটারের নাম বলা। সকলেই আমার ফেভারিট। তবে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির ব্যাটিং দেখতে ভালোলাগে।"
আরো পড়ুন: ধোনির বিশ্বকাপ জয়ে আসল অবদান সৌরভের, চাঞ্চল্যকর দাবি জাতীয় দলের তারকার
এরপরেই ঋষভ পন্থের নাম নিজেই জানিয়ে বলেন, "আমি ঋষভ পন্থে মজে রয়েছি। কারণ ও একজন ম্যাচ উইনার। জসপ্রীত বুমরা এবং মহম্মদ শামি দুজনেই দারুণ বোলার। শার্দুলকে ভালো লাগে ওঁর সাহসিকতার জন্য। ভারতে এই মুহূর্তে প্রতিভার ছড়াছড়ি। সুনীল গাভাসকার যখন ছিলেন তখন সকলের চিন্তা ছিল, ওঁর পরে ভারতের ক্রিকেটের কী হবে! তারপরে তেন্ডুলকর, দ্রাবিড়, কুম্বলেরা আসে। ওদের পরে এখন কোহলি, রোহিত শর্মা, ঋষভ পন্থরা জাতীয় দলের ভরসা হয়ে উঠেছে। ভারতে এত প্রতিভা যে প্রত্যেক প্রজন্মেই সেরা ব্যাটসম্যানরা বেরিয়েছে।"
১৯৯২ সালে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়াগামী ভারতীয় দলের স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। সেই সফরে একটিও ম্যাচে খেলেননি সৌরভ। তারপরেই কীভাবে কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে পরবর্তী পর্যায়ে উন্নীত করেন, তা জানিয়েছেন সৌরভ। বলে দিয়েছেন, "১৯৯২ সালের অস্ট্রেলীয় সফর আমার কাছে ব্যর্থতা বয়ে আনে। কোনো সুযোগ না পেয়েই ফিরে আসতে হয়েছিল। তবে আমার বয়স সেই সময় অনেক কম ছিল। সেই সফরের অভিজ্ঞতা আমাকে আরো ভালো ক্রিকেটার হয়ে উঠতে সাহায্য করে। সত্যি কথা বলতে, মানসিকভাবে আরো শক্তিশালী হয়ে প্রত্যাবর্তন করি। সেই সময় বুঝে গিয়েছিলাম, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেমন! ৩-৪ বছর ধরে নিজেকে নিংড়ে প্রস্তুত করেছিলাম। শুধু শারীরিকভাবেই নয়, মানসিকভাবেও তৈরি হয়েছিলাম। ১৯৯৬ সালে যখন ইংল্যান্ড সফরে যাই, তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করার বিষয়ে রীতিমত আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। তাই বাদ পড়ার চার বছর আসলে অভিশাপের বদলে আশীর্বাদ হয়েই দেখা দিয়েছিল আমার কেরিয়ারে।"
জানুয়ারিতে হৃদরোগে জোড়া অস্ত্রোপচার হয় সৌরভের। তবে তিনি জানিয়েছেন, এখন শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন