আইসিসি-র অনন্য স্বীকৃতি পেলেন ঋষভ পন্থ। মঙ্গলবার ভারতের তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানকে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ২০১৮-র এমার্জিং প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার (উঠতি ক্রিকেটার) হিসেবে ঘোষণা করল।
দেখতে গেলে আন্তর্জাতিক আঙিনায় একেবারেই নতুন পন্থ। দেখতে গেলে দু’বছরও দেশের জার্সিতে খেলে উঠতে পারেননি রুরকির ২১ বছরের ক্রিকেটার। কিন্তু এর মধ্যেই বাইশ গজে নিজের ছাপ রেখেছেন কোহলির দলের তরুণ তুর্কী। ২০১৮-তে টেস্ট অভিষেককারী পন্থ সাদা জার্সিতে প্রথম বলটাই ওভার বাউন্ডারি মেরেছিলেন। পন্থ ভারতের প্রথম উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেঞ্চুরির নজির গড়েন।
আরও পড়ুুন: পন্থ যা করলেন তা ধোনিও পারেননি কখনও
পন্থ অস্ট্রেলিয়ায় বিরাট কোহলির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার (৩৫০) হন।অজিদের বিরুদ্ধে ২০টি ক্যাচ তালুবন্দি করেন পন্থ। একক টেস্ট সিরিজে এর আগে কোনও ভারতীয় উইকেটকিপার এত ক্যাচ নিতে পারেননি। সইদ কিরমানি ও নরেন তামহানেস দু’জনেই ১৯টি করে ক্যাচ নিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি পন্থ এবি ডিভিলিয়ার্স ও জ্যাক রাসেলের সঙ্গে এক আসনে বসে বিশ্বরেকর্ড করেন। এই তিন ক্রিকেটারেরই এক টেস্টে ১১টি ক্যাচ নেওয়ার নজির রয়েছে। পন্থ অ্যাডিলেডে ১১টি ক্যাচ নেন। অ্যাডিলেড টেস্টেই ধোনির যোগ্য উত্তরসূরী হওয়ার প্রমাণ দিয়েছিলেন পন্থ। ধোনির পর দ্বিতীয় ভারতীয় উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টের এক ইনিংসে ছ’টি ক্যাচ নিয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ান-ডে ও টি-২০ অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ হয়েছেন আইসিসি-র বর্ষসেরা টি-২০ ক্রিকেটার। প্রত্যাশিত ভাবে ফিঞ্চই এই পুরস্কারের যোগ্য দাবিদার। গত বছর জুলাইতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারারাতে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ৭৬ বলে ১৭২ রানে ইনিংস। তাঁর ব্যাটেই ভেঙেছিল নিজের অতীতের বিশ্বরেকর্ড। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেবার ১৫৬ করেছিলেন তিনি। ২০১৩-১৪ মরসুমেও ফিঞ্চ হয়েছিলেন ক্রিকটের ক্ষুদ্রতম ফর্ম্যাটের সেরা।
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে আইসিসি দিয়েছে স্পিরিট অফ ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড। স্কটল্যান্ডের ক্যালাম ম্যাকলয়েড হয়েছেন আইসিসি-র অ্যাসোসিয়েট ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ার। শ্রীলঙ্কার কুমার ধর্মসেনাকে আইসিসি সেরা আম্পায়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে।