রজার ফেডেরার আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি ঘাসের কোর্টের রাজা। রাজা রজারের কাছে বশ্য়তা স্বীকার করতে বাধ্য় হলেন তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ও টেনিসের সর্বকালের অন্য়তম সেরা রাফায়েল নাদাল। শুক্রবার উইম্বলডনের সেমিফাইনাল ম্য়াচটা যেন টেনিসের ইতিহাসে মহাকাব্য় লিখে দিল। ৩৭ বছরের ফেডেরারের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি যেন বয়সটাকে অন্তত পক্ষে ২০টা বছর কমিয়ে দিয়েছেন।
সার্ভিস থেকে শুরু করে ব্যাকহ্য়ান্ড! তাঁর সঙ্গে সেই চেনা আগ্রাসন। ফেডএক্স যেন জেতার জন্য়ই কোর্টে নেমেছিলেন। ৭-৬ (৭/৩), ১-৬, ৬-৩, ৬-৪ সেটে জিতলেন তিনি। আগামিকাল অল ইংল্যান্ড ক্লাবে ফেডেরার কেরিয়ারের নবম উইম্বলডন খেতাব জয়ের লক্ষ্য়ে নামবেন। বিশ্বের এক নম্বর নোভাক জকোভিচকে হারাতে পারলেই সুইস রাজপুত্রের মুকুটে যুক্ত হবে ২১ তম গ্র্যান্ড স্লাম খেতাব।
ফেডেরারের সঙ্গে নাদালের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ১৫ বছরের। কেরিয়ারের ৪০ তম বার মুখোমুখি হয়েছিলেন এই প্রজন্মের অন্যতম দুই সেরা মহারথী। সেন্টার কোর্টে ১১ বছর আগে শেষবার দু'জন মুখোমুখি হয়েছিলেন। ফলে তাঁদের এই ম্য়াচ নিয়ে প্রত্যাশার পারদ ছিল গগনচুম্বী।
এই জয়ের পর চমকে গিয়েছেন ফেডেরার। তিনি বলছেন, তিনি অবাক হয়ে গিয়েছেন। ফেডেরার জানালেন, " অবশ্যই বিষয়টা স্বাভাবিক নয়। অবাক করে দেওয়ার মতোই।" ২০০৩ সালে প্রথমবার ফেডেরার উইম্বলডন খেতাব জিতেছিলেন। দেখতে দেখতে ১৬টা বছর পার হয়ে গিয়েছে। আবারও তিনি ফাইনালে। এ বিষয়ে তাঁর মত,"আশা করি কোনওদিন আমার মতো কেউ এতদিন খেলতে পারবে।" অন্য়দিকে মেয়েদের ফাইনালে উঠেছেন সেরেনা উইলিয়ামস। মার্কিনি পাওয়ারহিটার তাঁর কেরিয়ারের প্রথম উইম্বলডন জেতেন ২০০২ সালে। ফেডেরার তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করে বলছেন,"আমাদের দু'জনের কাছেই এটা স্পেশাল। সেরেনা আমার আগে থেকে এই ট্যুরে। ও যা করছে তা অতুলনীয়।"
নিজের আরও একটি ফাইনাল খেলার প্রসঙ্গে ফেডেরারের সংযোজন, "আমার কাছে এটা অপ্রত্যাশিত। ২০০৩-এর খেতাব জয় ছিল অপ্রত্যাশিত। আরও একটা ফাইনাল খেলতে পারা আমার কাছে অনেকটা।" রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচের রেশ থেকে বেরোতো পারেননি ফেডেরার। তিনি বললেন, "ক্লাইম্য়াক্সটা অসাধারণ ছিল। শেষটাতেই যেন সব ছিল। তবে এখন স্বস্তি লাগছে যে, এটা শেষ হয়ে গেল। দেখতে গেলে এটা অন্যতম ফেভারিট ম্য়াচ হয়ে থাকবে। একেতে উইম্বলডন, তারওপর রাফা।"