প্রথম দু-ম্যাচে রান পাননি। তাই নিউজিল্যান্ডের বোলিংকে খুন করার জন্য রোহিত বেছে নিয়েছিলেন হ্যামিল্টনের সেডান পার্ককেই। ছক্কায় ছক্কায় মাঠ মাতিয়ে দিলেন তিনি। গ্য়ালারিতে আছড়ে পড়ল একের পর এক ছক্কা। তা দেখে ভারতীয় দর্শকরাও খুশ!
প্রথমে ব্য়াটিং করতে নেমে ৪০ বলে ৬৫ করে গিয়েছিলেন। হামিশ বেনেটের এক ওভারেই তুলেছিলেন ২৬ রান। আর সুপার ওভারে টিম সাউদিকে আছড়ে ফেললেন গ্যালারিতে। শেষ দু-বলে জোড়া ছক্কা হাকিয়ে ম্যাচের নায়ক তিনি। শেষ ওভারে ৪ বলে ১৫ করে যান হিটম্যান।
ম্যাচের ৬ নম্বর ওভারেই বোঝা গিয়েছিল আজ রোহিত বিস্ফোরক মেজাজে রয়েছেন। জাতীয় দলের জার্সিতে মাত্র তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামা হামিশ বেনেটের উপরে চড়াও হয়েছিলেন রোহিত। সেই ওভারের প্রথম বলে লোকেশ রাহুল ১ রান নিয়ে রোহিতকে স্ট্রাইক দিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় বল ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ারের উপর দিয়ে ছক্কা। দ্বিতীয় বলে ওভার পিচড ডেলিভারি লং অফের উপর দিয়ে ছক্কা হাকা রোহিত। এরপরের দু-বলে পরপর বাউন্ডারি হাকান তিনি। এরপরে অনভিজ্ঞ হামিশ বেনেট খেই হারিয়ে ফেলেন। রোহিতের বিরুদ্ধে ৪ বলে তিনি ইতিমধ্যে ২০ রান খরচ করে ফেলেছিলেন।
শেষ বলের আগে দলের অভিজ্ঞ পেসার টিম সাউদি এবং অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে নেন। তবে তাতেও বেনেট রক্ষা পাননি। বোলারের মাথার ওপর দিয়ে তিনি এবার ছক্কা হাকান।
সুপার ওভার- সুপার ওভারে ভারত যে জিতবে তা অনেকেই আশা করেননি। জয়ের জন্য ১৯ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ৪ বলে রোহিত-লোকেশ তুলতে পেরেছিল মাত্র ৮ রান! শেষ ২ বলে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল ১১ রান। সেখান থেকে পরপর জোড়া ছক্কায় অনায়াসে জয় ভারতের।
৩২ বছরের তারকা ব্য়াটসম্যান এদিন মাত্র ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন। টি২০-তে যা তাঁর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। পাশাপাশি সেডান পার্কেই রোহিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজার রান পূর্ণ করে নেন ওপেনার হিসেবে। চতুর্থ ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এই নজির গড়লেন তিনি।
যাইহোক, হামিশ বেনেট প্রথমে রোহিতের কাছে লাঞ্ছিত হলে পরে তাকেই ফেরান প্যাভিলিয়নে। ৪ ওভার বল করে ৫৪ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন তিনি। রোহিতের পাশাপাশি বেনেট শিবম দুবে, বিরাট কোহলিকেও ফেরান।
Read the full article in ENGLISH