Advertisment

চাহালের ব্যাটিং নিয়ে মস্করা রোহিত-বুমরার

করোনার তান্ডবে গোটা বিশ্বে লকডাউন চলছে। এমন পরিস্থিতিতে গৃহবন্দি থাকা অবস্থায় ক্রিকেটাররা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ চালু রেখেছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
rohit sharma pull shot

রোহিত শর্মা, ফাইল ছবি

রোহিত শর্মা আর জসপ্রীত বুমরাহ। দুজনে মিলে এবার ট্রোল করলেন জাতীয় দলের অন্য তারকা যুজবেন্দ্র চাহলকে। ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি রোহিত-বুমরার কান্ড প্রকাশ্যে আসতেই নেটিজেনদের মধ্যে সাড়া পড়ে গিয়েছে। রোহিত ও বুমরা দুজনেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের খেলেন। অন্যদিকে চাহাল আবার আরসিবির স্কোয়াডের অন্যতম সদস্য। চাহালের ব্যাটিং স্কিল নিয়েই রোহিতদের ঠাট্টা, তামাশা।

Advertisment
করোনার তান্ডবে গোটা বিশ্বে লকডাউন চলছে। ভারতেও ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আপাতত বন্ধ। আইপিএল আয়োজনও বিশ বাঁও জলে। এমন পরিস্থিতিতে গৃহবন্দি থাকা অবস্থায় ক্রিকেটাররা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ চালু রেখেছেন।
যাইহোক, ইনস্টাগ্রামে বুমরা প্রথমে চাহালকে ট্রোলিং শুরু করেন, "যদি আমরা আরসিবির বিরুদ্ধে কোনও ম্যাচে মুখোমুখি হই তাহলে আমি চাহলের বিপক্ষে বোলিং করতে চাইবো। আমাকে বলা হয়েছে চাহলের আগে আমার ব্যাটিং করা উচিত। যেদিন চাহাল আমার বলে ছয় মারবে সেদিন থেকেই আমি ব্যাটিং অর্ডারে নীচে চলে যাবো।"
এরপরেই ট্রোলিংয়ের আসরে নামেন রোহিত। তিনিও সেখানে লেখেন, "আমারও মনে হয় বুমরার এক ওভার বাঁচিয়ে রাখা উচিত চাহালকে বোলিং করার জন্য। যেদিন থেকে ইংল্যান্ডে স্ট্রেট ড্রাইভ হাঁকিয়েছে সেদিন থেকেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েছে। ওকে বলতে হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটাও ছক্কা না হাঁকিয়ে বিশ্বের সেরা বোলারকে গ্যালারির বাইরে পাঠিয়েছে (অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স)।"
জাতীয় দলের দুই সতীর্থের ট্রোলিংয়ের সামনে চাহাল আবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে জিজ্ঞাসা করে বসলেন, তাঁদের কোনো লেগস্পিনারের প্রয়োজন কিনা।
রোহিত এরপরে আরও লেখেন, "মুম্বই ইন্ডিয়ান্স যদি হারে তাহলে আমরা নিশ্চয় ওঁকে মিস করবো। কিন্তু মুম্বই তো জিতছে। কেন আমরা ওকে মিস করবো? ওর ব্যাঙ্গালোরে বসে থাকা উচিত। এই মুহূর্তে এটাই ওর কাছে আদর্শ হবে।"
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তিন ক্রিকেটারই এই মুহূর্তে আইপিএল খেলতে ব্যস্ত থাকতেন সংশ্লিষ্ট দলের জার্সিতে। ২৯ মার্চ টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনার কারণে টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৫ তারিখ পর্যন্ত। তবে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। এমন অবস্থায় সম্ভবত টুর্নামেন্ট বাতিলের পথে হাঁটতে পারেন আয়োজকরা। এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
cricket
Advertisment