ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার পর রোহিত শর্মার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ক্যারিবিয়ান সফরে রোহিতই টেস্ট দলের নেতা থাকছেন? কিন্তু ক'দিন রোহিত নিজের ক্যাপ্টেনশিপ ধরে রাখতে পারবেন, প্রশ্ন উঠে গিয়েছে এখন থেকেই। জানা যাচ্ছে, ক্যারিবীয় সফরে নেতা হিসেবে রোহিতকে রাখা হলেও সেই সিরিজের পরে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিসিসিআই।
ভারতীয় দলের অন্দরমহল বলছে, রোহিত যদি না নিজে থেকে ক্যারিবীয় সফর থেকে বিশ্রাম নেন, তাঁকে দায়িত্বে রেখেই দল গড়া হবে। জুলাইয়ের ১২ তারিখ থেকে ডমিনিকায় শুরু হচ্ছে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্ৰথম টেস্ট। জুলাইয়ের ২০ থেকে পোর্ট অফ স্পেনে সফরের দ্বিতীয় টেস্ট। এই দুই টেস্টে ব্যর্থ হলেই সম্ভবত রোহিতকে নিয়ে নির্বাচকরা কড়া সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে পারেন।
আরও পড়ুন: টাকার লোভে এঁরা সবকিছুই করতে পারে! শেওয়াগ, গাভাসকারকে তুলোধোনা গম্ভীরের
বোর্ডের এক সূত্র সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, "রোহিতকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে, এসব কথার কোনও ভিত্তি নেই। তবে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সাইকেলে রোহিত পুরোপুরি খেলবেন কিনা, সেটা চিন্তার বিষয়। কারণ নতুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পর্যায় শেষ হচ্ছে ২০২৫-এ। সেই সময় রোহিতের বয়স হবে ৩৮। আশা করি ওঁর ব্যাটিং ফর্ম দেখে শিব সুন্দর দাস এবং বাকি নির্বাচকরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই টেস্টের পর সিদ্ধান্ত নেবেন।"
ভারতীয় বোর্ড বরাবর অন্যান্য বোর্ডের থেকে স্বতন্ত্র। বিসিসিআই-য়ের বিশ্বাস, যখন সমালোচনা চূড়ান্ত স্তরে পৌঁছয়, সেই সময় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। বোর্ডের সেই সূত্র জানাচ্ছেন, "ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর ডিসেম্বরের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর পর্যন্ত ভারতের কোনও টেস্ট নেই। তাই নির্বাচকদের কাছে ভাবনাচিন্তা করার মত পর্যাপ্ত সময় থাকবে। সেই সময় পঞ্চম নির্বাচকও প্যানেলে যোগ দেবেন। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
ভারতীয় দলে ওপেন সিক্রেট যে রোহিত প্ৰথমে টেস্টের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিতেই চাননি। বিরাট কোহলি নেতৃত্ব ছাড়ার পর রোহিতই অটোমেটিক চয়েস ছিলেন। তবে রোহিত টেস্টের ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান ছিলেন। কেএল রাহুল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভরসা জাগাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বোর্ডের দুই প্ৰভাবশালী জয় শাহ এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাজি করান রোহিতকে।
২০২২-এ রোহিত টেস্টের অধিনায়ক হন। এরপর থেকে ভারত ১০টি টেস্ট খেলেছে। এর মধ্যে তিনটি টেস্ট খেলতে পারেননি হিটম্যান। এর মধ্যে ইংল্যান্ডে করোনার কারণে এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুই টেস্টে গড়হাজির ছিলেন আঙুলে চোট লাগায়। বাকি ৭ টেস্টে ১১ ইনিংসে রোহিত ৩৫.৪৫ গড়ে ৩৯০ রান করেছেন। শতরান করেছেন মাত্র একটি। হাফসেঞ্চুরি নেই একটিতেও। নেতা হওয়ার পর ব্যাট হাতে প্রত্যাশিত ফর্মে জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। একমাত্র নাগপুর টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চলতি বছরে দুর্ধর্ষ ১২০ করে গিয়েছিলেন।
Read the full article in HINDI